শিশুদের হুপিং কাশির ঘরোয়া প্রতিকার
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৬ মে: ছোট শিশুদের দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে, যার কারণে তারা সহজেই রোগের ঝুঁকিতে পড়ে। পরিবর্তনশীল ঋতুতে শিশুরা প্রায়ই সর্দি-কাশিতে ভোগে। কিন্তু আপনার শিশুর যদি দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকে এবং কাশির সময় অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়, তাহলে এটি হুপিং কাশির লক্ষণ হতে পারে। হুপিং কাশি হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যা প্রধানত শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এটি Bordetella pertussis নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট, তাই চিকিৎসা ভাষায় নাম pertussis। স্থানীয় ভাষায় এটি হুপিং কাশি নামেও পরিচিত।
এই কাশি শুরুতে স্বাভাবিকের মতোই। কিন্তু ধীরে ধীরে তা তীব্র আকার ধারণ করে, যার কারণে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।এছাড়াও জ্বর, সর্দি, ক্লান্তি এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আপনি যদি আপনার শিশুর মধ্যে হুপিং কাশির লক্ষণগুলি দেখতে পান, তবে একবার ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা করান। কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে হুপিং কাশি কিছুটা হলেও উপশম করা যায়। আজ এমনই কিছু প্রতিকারের কথা বলছি।
ঘরোয়া প্রতিকার ::
রসুন -
হুপিং কাশির জন্য রসুন ব্যবহার করা যেতে পারে। রসুনে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। এর জন্য রসুনের ২ থেকে ৩ টি কোয়া পিষে রস বের করে নিন। তারপর তাতে মধু মিশিয়ে শিশুকে চাটতে দিন। এই মিশ্রণটি শিশুকে দিনে দুবার দিন।
তুলসী -
হুপিং কাশিতে তুলসীর ব্যবহার খুবই উপকারী। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে। এর জন্য ১০-১২ টি তুলসী পাতা পিষে নিন। এবার এতে কিছু মধু মিশিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট তৈরি করুন। শিশুকে দিনে ৩-৪ টি ট্যাবলেট খেতে দিন।
এসেন্সিয়াল অয়েল -
হুপিং কাশি থেকে মুক্তি পেতে এসেন্শিয়াল অয়েলের ব্যবহার উপকারী হতে পারে। পেপারমিন্ট এবং লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক হতে পারে। শিশুর হুপিং কাশি হলে, বাদাম বা অলিভ অয়েলের সাথে পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন এবং পিঠ ও বুকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
বাদাম -
শিশুদের হুপিং কাশি দূর করতে বাদাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য ৩-৪ টি বাদাম সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এগুলি খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর মিছরি এবং একটি রসুনের কোয়া দিয়ে পিষে নিন। এর থেকে ছোট ছোট ট্যাবলেট তৈরি করে শিশুকে দিনে ৩-৪ টি খাওয়ান।
হলুদ -
হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হুপিং কাশি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। শিশুকে প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ দুধে এক চিমটি হলুদ দিয়ে দিন। এটি হুপিং কাশি এবং সর্দি থেকে মুক্তি দেবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment