মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে আত্মঘাতী যুবক
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৭ মে, হাওড়া : দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনের অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছিলেন যুবক। যুবকটি হাওড়া হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিল, কিন্তু ব্যথা ছিল অসহ্য। এমন পরিস্থিতিতে যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে রবিবার হাওড়ার ওই যুবক দৌলত আলী এমন ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিলেন, যা শুনে মানুষ কাঁপছে। পরিবারের অভিযোগ, তিনি গলায় বৈদ্যুতিক করাত চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহত যুবকের নাম দৌলত আলী।
হাওড়ার বায়নতারা থানা এলাকার পূর্ব-পশ্চিম বাইপাস সংলগ্ন একটি কলোনিতে থাকতেন দৌলত আলী। তার বয়স ছিল ২৯ বছর। দৌলত মাইগ্রেনে ভুগছিলেন এবং হাওড়া হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার থেকে তার অসহ্য মাথাব্যথা শুরু হয়। আর সহ্য হলো না। এ কারণেই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে একটি ছেলে এমন পদক্ষেপ নেবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
দৌলত আলীর মা রোহিমা বিবি জানান, ছেলে মাথা ব্যথার কথা বলত। মাথা ব্যথার কারণে তাকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। ছেলেটি ওষুধ খাচ্ছিল।
নিহত যুবকের মা বলেন, “ছেলেটি গতকাল সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। সকালে ওর মাথায় জল দিয়ে বললাম এখন ঘুমাতে। তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমিও একটু ঘুমালাম। তারপর এমন হবে ভাবতে পারিনি। তার পাশে একটি করাত পড়ে ছিল। সে আত্মহত্যা করল।"
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম দৌলত আলী মোল্লা মাইগ্রেনে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই সমস্যায় ভুগছিলেন। স্বজনরা জানান, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা বাড়ছে। মাসের বেশির ভাগ সময় তিনি মাথা ব্যথায় ভুগছিলেন।
রবিবার সকালে তিনি নিজ কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। সারারাত মাথা ব্যথায় ভুগছিলেন। ভোরবেলা স্বজনরা যন্ত্র চলার শব্দ শুনতে পেলেও এমন কিছু ঘটতে পারে, দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। স্বজনরা বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন রক্তের বন্যা। সেখানে দৌলত আলীর দেহ পড়ে ছিল। করাতটি তার হাতের কাছে পড়ে ছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment