বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৫ মে: স্বামী ভিনরাজ্যে, আর এরই মাঝে উদ্ধার বধূর ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মালদার মালতীপুর বিধানসভার ক্ষেমপুর পঞ্চায়েতের বিজলি গ্রামে। ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছেন বধূর বাপের বাড়ির লোকজনেরা। শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও দেওর সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ চাঁচল থানার বধূর বাপের বাড়ির পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতার নাম কোহিনূর খাতুন(২৩)। দেহট উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছর আগে প্রেমের বিয়ে হয় কোহিনূরের। তাঁর বাপের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের চাঁদপুর গ্রামে। বিজলি গ্রামের পেশায় রাজমিস্ত্রি সহবুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।একবছর আগে তাদের একটি সন্তানও হয়, কিন্তু এরই মাঝে বধূর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু।
গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বধূর ভাই ইমাম হোসেনের অভিযোগ, প্রেম করে বিয়ে করায় শ্বশুর-বাড়ির লোকজনেরা মেনে নিতে পারেননি। তিনি বলেন, "তাদের দাবীতে চার লক্ষ টাকা পণ দিই। তবুও বাড়তি টাকার জন্য একাধিক বার চাপ দেওয়া হচ্ছিল বোনকে। এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভাও হয়। কিন্তু বোনের ওপর অত্যাচার কমেনি। হামেশাই মারধর করত শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা।'
তিনি আরও বলেন, "শুক্রবার খবর পাই বোনের মৃত্যু হয়েছে। ছুটে গিয়ে দেখি শোওয়ার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে এবং পা গুলি চৌকিতে ছুঁয়ে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে আত্মহত্যা বলে মনে করা যায় না।" তাঁর বোনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় তুলছেন শ্বশুর মজিবুর রহমান তার পরিবারের লোকজনদের।
মেয়ের মামা তফিজুল হকের অভিযোগ, 'জামাইয়ের নির্দেশেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা ভাগ্নিকে খুন করেছে।ওদের শাস্তি চাই।'
অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।'
No comments:
Post a Comment