বিয়ের আগে হলুদ অনুষ্ঠান কেন করা হয়? জেনে নিন এর বৈজ্ঞানিক কারণ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ মে: আমাদের দেশে বিয়ের প্রথাকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। বর্তমানে দেশে চলছে বিয়ের মৌসুম। একটি বিয়ে দুটি মানুষকে নয় দুটি পরিবারকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। বিয়ের সময় অনেক ধরনের প্রথা পালন করা হয়। আজ আমরা তাদের মধ্যে হলুদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানব।
বেশিরভাগ সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিয়ের প্রবণতা দেখা যায়। প্রতিটি সমাজে বিবাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রথা রয়েছে, যা সেই সমাজের লোকেরা মেনে চলে। একইভাবে, হিন্দু ধর্মেও, বিয়ের আগে থেকে পরে অনেক ঐতিহ্য অনুসরণ করা হয়, যা প্রত্যেককে অনুসরণ করতে হয়। হিন্দু ধর্মে বিয়ের আগে হলুদের প্রথা দেখা যায়। শুধু ধর্মীয় নয়, বৈজ্ঞানিক কারণও লুকিয়ে আছে বলে এই প্রথা পূরণ করা প্রয়োজন।
হলুদ কেন ব্যবহার করা হয়?
হিন্দুধর্মে, বিয়ের আগে, বর ও কনেকে হলুদ প্রয়োগ করা হয়। হলুদ অবশ্যই হিন্দু ধর্মে যে কোনও শুভ কাজের অন্তর্ভুক্ত, যা কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়। হলুদের আচার বিবাহে আগত নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক শক্তি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া বিবাহের সময় হলুদ রঙকে সমৃদ্ধি ও সুখের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই রীতির মাধ্যমে বর-কনের ভবিষ্যৎ জীবনে সুখ-শান্তি আসে। দেবতাদের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য হলুদ নিবেদন করা হয়, বিশেষ করে হলুদ রং ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়, তাই তাঁর আশীর্বাদ পেতে হলুদ নিবেদন করা হয়।
এর বৈজ্ঞানিক কারণ কী?
এটি বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে হলুদ প্রথায় বর এবং কনের মুখে এবং শরীরে হলুদ প্রয়োগ করা হয়, এটি ত্বকের স্বর উন্নত করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এ ছাড়া বলা হয়, প্রাচীনকালে বিউটি পার্লার বলে কিছু ছিল না। এ কারণে বর-কনের মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে হলুদ ব্যবহার করা হতো। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে হলুদ একটি অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে এবং এটি ত্বকের সংক্রমণও দূর করে। হলুদ কয়েকদিন লাগালে বিয়ের দিন মুখ উজ্জ্বল হতে শুরু করে।
No comments:
Post a Comment