বিলাওয়াল ভুট্টোকে সন্ত্রাসী শিল্পের মুখপাত্র বললেন জয়শঙ্কর! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 5 May 2023

বিলাওয়াল ভুট্টোকে সন্ত্রাসী শিল্পের মুখপাত্র বললেন জয়শঙ্কর!

 


বিলাওয়াল ভুট্টোকে সন্ত্রাসী শিল্পের মুখপাত্র বললেন জয়শঙ্কর! 


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ মে : শুক্রবার গোয়ায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেন।  তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোকে সন্ত্রাসী দেশের মুখপাত্র বলেছেন।  তিনি বলেন, "সন্ত্রাসের শিকার ও ষড়যন্ত্রকারীরা একসঙ্গে বসে কথা বলতে পারে না।"


 প্রেসকে সম্বোধন করে জয়শঙ্কর বলেন যে,  "বিলাওয়ালকে এসসিও বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।  তিনি সন্ত্রাসী শিল্পের মুখপাত্র।  পাকিস্তানের কিছুতেই বিশ্বাস করা যায় না।"


 এই প্রশ্নে বিলাওয়াল ভুট্টো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলছেন।  জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, "বিলাওয়ালের সাথে একটি এসসিও সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে যথাযথ আচরণ করা হয়েছিল।  কিন্তু তিনি সন্ত্রাসবাদের শিল্পের মুখপাত্র।  এমতাবস্থায় সন্ত্রাসের শিকার ও ষড়যন্ত্রকারীরা একসঙ্গে দেখা ও কথা বলতে পারে না।  এখানে এসে এমন দ্বিমুখী কথা বলার দরকার নেই।  সন্ত্রাস নিয়ে আমাদের সবার মধ্যে ক্ষোভ আছে।  ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তুলনায় পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।"


 কাশ্মীরে G-20 বৈঠকে পাকিস্তানের আপত্তির বিষয়ে, জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, " G-20-এর সাথে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই।  শ্রীনগর ও কাশ্মীরের সঙ্গেও তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।  তাদের বলা উচিৎ কখন তারা PoK-তে অবৈধ দখল খালি করছে।"


 জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কিত প্রশ্নে জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, " জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের ছিল এবং ভারতেরই থাকবে।  সময়মতো জম্মু ও কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত হবে G-20 বৈঠক।"



এই সময় জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, " জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণ এখন ইতিহাস হয়ে গেছে, এটি যত তাড়াতাড়ি বোঝা যায় ততই ভাল।"



 চীনের সাথে ভারতের বর্তমান সম্পর্কের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, " সীমান্ত পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চীনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।"


 

 ১৫ জুন ২০০১ সালে SCO গঠিত হয়েছিল।  এরপর চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান 'সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা' প্রতিষ্ঠা করে।  এরপর জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনা দূর করার পাশাপাশি ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিও উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।


 সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ৮টি সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত।  এর মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান।  এর বাইরে চারটি পর্যবেক্ষক দেশ- ইরান, আফগানিস্তান, বেলারুশ ও মঙ্গোলিয়া।


 

 শুধু তাই নয়, এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য (চীন ও রাশিয়া) এবং চারটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ (চীন, রাশিয়া, ভারত ও পাকিস্তান)।


 ২০০৫ সালে কাজাখস্তানের আস্তানায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তান, ইরান এবং মঙ্গোলিয়াও অংশগ্রহণ করেছিল।  এই প্রথম ভারত SCO সম্মেলনে অংশ নিল।


 

 SCO বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।  এই সংস্থায় চীন ও রাশিয়ার পরেই ভারত সবচেয়ে বড় দেশ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad