কিউইতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
পল্লবী ঘোষ, ০১ মে: কিউই এমন একটি ফল যা সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়, এটিকে যদি সুপারফুডের ক্যাটাগরিতে রাখা হয় তাহলে হয়তো ভুল হবে না কারণ এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তোমার স্বাস্থ্য. বাজারে এর দাম অন্য অনেক ফলের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও এটি কেনা এবং খাওয়া কখনই লোকসানের চুক্তি হবে না।
কিউইতে পাওয়া যায় পুষ্টিগুণ
কিউইতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম, যারা তাদের ফিটনেসের বিশেষ যত্ন নেন তারা অবশ্যই কিউই খান। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবার পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরকে নানাভাবে উপকার করে। প্রতিদিন একটি মাঝারি আকারের কিউই খাওয়া আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।
কিউই খাওয়ার উপকারিতা
১. যাদের হৃদরোগ আছে তাদের প্রায়ই কিউই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২. উচ্চ রক্তচাপের অভিযোগ থাকলে অবশ্যই কিউই ফল খান, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনবে।
৩. কম ক্যালরি থাকার কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনো ওষুধের চেয়ে কম নয়। এতে সুগার লেভেল কমে যায়।
৪.কিউই খেলে শরীরের টক্সিন বের হতে শুরু করে, যার ইতিবাচক প্রভাব আমাদের ত্বকে দেখা যায়।
৫. নিয়মিত কিউই খেলে ত্বকে আশ্চর্যজনক উজ্জ্বলতা আসে এবং বলিরেখা চলে যায়।
৬. যাদের পেটে সমস্যা আছে তাদের নিয়মিত কিউই খেতে হবে।
৭. কিউই পেটের আলসার নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে।
৮ . কিউইতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী।
৯. কিউই খাওয়া আমাদের হাড়ের জন্যও উপকারী, এটি জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
১০. যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের মানসিক চাপ কমাতে কিউই খেতে হবে।
১১. কিউই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেয়, এটি অনেক রোগ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment