PCOD-এর কারণ ও লক্ষণগুলো সম্বন্ধে জেনে নিন
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক, ১ মে: PCOD বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ, মহিলাদের মধ্যে একটি সাধারণ রোগ। এটি নারীর উর্বরতাকে প্রভাবিত করে। PCOD হল এমন একটি অবস্থা যেখানে ডিম্বাশয় অনেকগুলি অপরিপক্ব বা আংশিক পরিপক্ক ডিম ত্যাগ করতে শুরু করে যা শেষ পর্যন্ত সিস্টে পরিণত হয়। এই রোগে আক্রান্ত নারীর শরীরে ভারসাম্যহীনভাবে হরমোন তৈরি হয়, যার কারণে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায় এবং গর্ভধারণে সমস্যা হয়।
PCOD-এর কারণ -
PCOD-এর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং জেনেটিক্স এই সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি আপনার পরিবারের কারোর আগে এই রোগ হয়ে থাকে, তাহলে আপনার এটি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৫০% বেড়ে যায়। লাইফস্টাইলের পরিবর্তন, স্থূলতা, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়া এবং লুটেইনাইজিং হরমোনও PCOD-এর কারণ হতে পারে।
PCOD-তে আক্রান্ত প্রায় ৮০% মহিলাদের মধ্যে ইনসুলিন প্রতিরোধের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এটি ডিম্বাশয়কে উচ্চ পরিমাণে টেস্টোস্টেরন তৈরি করতে উদ্দীপিত করতে পারে। এটি ফলিকল-এর স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে যা ডিম্বস্ফোটনে অনিয়ম ঘটায়।
PCOD-এর লক্ষণ —
PCOD এর কিছু বিশেষ লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখে আপনি বা আপনার ডাক্তার অনুমান করতে পারেন যে আপনি PCOD-তে ভুগছেন। এর সময়মত চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সরাসরি আপনার উর্বরতাকে প্রভাবিত করে। এখানে আমরা এমনই কিছু উপসর্গের কথা বলছি। যদি আপনি নিজের মধ্যে এই উপসর্গগুলোর কোনোটি দেখতে পান বা অনুভব করেন, তাহলে আপনার অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
লক্ষণ -
ব্রণ হওয়া,
চুল পড়া,
ওজন বেড়ে যাওয়া,
তৈলাক্ত ত্বক থাকা,
ডিম্বাশয়ে সিস্ট,
বারবার গর্ভপাত,
পিরিয়ড না হওয়া,
হঠাৎ মুড পরিবর্তন,
হতাশা বা উদ্বেগ থাকা,
অনিয়মিত পিরিয়ড,
গর্ভবতী হওয়ার সমস্যা,
মুখ এবং শরীরে অত্যধিক চুল বৃদ্ধি।
No comments:
Post a Comment