পরিকাঠামোর অভাব, নেই গাইনোকোলজিস্ট! ঝুঁকি নিয়ে যমজ সন্তান প্রসব গ্ৰামীণ হাসপাতালে
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ মে: পরিকাঠামো নেই, তবুও রোগীর পরিবারের ভরসা ও অগাধ সাহসের জোরে গ্রামীণ হাসপাতালেই যমজ সন্তান প্রসব করালেন চিকিৎসক ও নার্সরা। মঙ্গলবার রাত প্রায় ১২.২০ তে প্রথম, তারপরই ২৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্য ডাউকিমারির বাসিন্দা যুথিকা রায়।
দুই সন্তান সুস্থ ও স্বভাবিক ভাবে ভূমিষ্ঠ হয়েছে, এতে হাসপাতালে পরিষেবা এবং চিকিৎসকের ভূমিকা খুশি প্রসূতির পরিবার। তবে, বুধবার সকাল হতেই তাদের জলপাইগুড়ি মাতৃ মা সদনে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবী, ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দূরত্ব অনেকটাই। আর প্রসূতিকে যে অবস্থায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তাতে জলপাইগুড়ি রেফার করা চাপের ছিল। এমনকি পথেই কিছু হয়ে যেতে পারত। তাই ঝুঁকি নিয়ে জলপাইগুড়ির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনেই পরামর্শ নিয়ে প্রসব করানো হয়। বাচ্চা দুটি ওজনও কম ছিল। সকাল হতেই তাদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্যে জলপাইগুড়ি পাঠাতে হয়েছে।
তবে, প্রসব করানো থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত মা এবং বাচ্চা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারনেই রেফার করা হয়েছে।
এর আগেও ধূপগুড়ি ঘোষ পাড়ার এক মহিলা যমজ সন্তান ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রসব হয়। সেখানেও ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকরা দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এবারও একই সাহস দেখিয়ে কুর্নিশ কুড়িয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি সদ্যোজাত সন্তানদের বাবা ভাস্কর রায়। বিএমওএইচ ডাঃ অঙ্কুর চক্রবর্তীও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃ প্রনয় দাস ও নার্সদের সাহসকে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment