জল-সঙ্কট! বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি এলাকাবাসীর
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০২ মে: পানীয় জলের দাবীতে বিক্ষোভ। অভিযোগ প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও মেটেনি সমস্যা। তাই সোমবার টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। অবরোধের জরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তাদের দাবী, পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিন তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ১ পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা। অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনকে বলেও এর সমাধান মেলেনি। পুকুরের জল ব্যবহার করে বাড়ছে পেটের রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। খাওয়ার জল আনতে হয় অনেক দূর থেকে। বাধ্য হয়ে এদিন টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারী দিপালী দত্ত বলেন, "আমরা আজ রাস্তা ছোট্ট করে অবরোধ করেছি। আমাদের পাড়ায় যদি জল না আসে আমরা এর থেকে বড় আন্দোলনে নামব।" তিনি আরও বলেন, "আমরা পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস সব জায়গায় জানাচ্ছি, কোনও মতে জল পাওয়া যাচ্ছে না। যে টাকায় আমরা জল কিনে খাচ্ছি সে টাকায় বাচ্চাদের পড়াতে পারব। জলের দোকানে মাসের ৭০০-৮০০ টাকা দিতে হচ্ছে। নাহলে এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে আমাদের খাওয়ার জল আনতে হচ্ছে। আমরা পরবর্তীতে অনেক বড় আন্দোলনে নামতে চাই, যদি আমরা জল না পাই।"
অপর এক বিক্ষোভকারী অমিত কর বলেন, "জলের সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এটুকু জাগায় জল নেই। বাড়িতে সাবমার্সাল বসানোর পরেও তাতে জল উঠছে না। টিউবওয়েলেও জল উঠছে না। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে, আর তাতে নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা সকলের কাছে আবেদন করছি আমাদের জলের সমস্যা যেন সমাধান হয়।"
অপর এক মহিলা কৃষ্ণা ঘোষ জানান, আজকে জলের জন্য তাদের এই অবরোধ। জল না হলে খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেক দূর দূর থেকে জল আনতে হয় রান্নার-খাওয়ার। তিনি বলেন, "এই বয়সে কত করতে পারে মানুষ! সরকারিভাবে কোনও জলের ব্যবস্থা নেই। পঞ্চায়েত, বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে লিখিত ভাবে। তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা জল চাইছি।"
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নিলেও,, পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিন বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
No comments:
Post a Comment