নদী বাঁধ সংস্কারে নিম্নমানের কাজ! বিক্ষোভ গ্ৰামবাসীদের, শাসককে খোঁচা বিরোধীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৪ মে: নদী বাঁধ সংস্কারে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার মালদার চাঁচলে। 'সব জায়গায় নিম্নমানের কাজ হচ্ছে', প্রতিক্রিয়া বিজেপির। কাটমানি খোঁচা কংগ্রেসের। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বিধায়কের।
মালদার চাঁচলের মহানন্দা নদীবাধের ভগ্ন দশা। বর্ষাকালে আশঙ্কা রয়েছে বাঁধ ভাঙার। বাঁধ ভাঙলে প্লাবিত হতে পারে উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকা। আর তাই সেই নদী বাঁধ সংস্কারের জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। চাঁচলের গালিমপুর থেকে শ্রীপতিপুর পর্যন্ত ২১০০ মিটার নদীর পার বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে ভাঙন রোধে। আর তাই এবারে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন তারা। এমনকি বন্ধ করে দিলেন সংস্কারের কাজও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে না। পুরনো বোল্ডারগুলো তুলে সেগুলোই বসানো হচ্ছে। তারা বলেন, "ঠিক ভাবে কাজ না করলে আমরা যাব কোথায়! নদী ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটে। সন্তানদের নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব আমরা!"
এদিকে এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। চাঁচল এক নম্বর ব্লকের বিজেপির কো কনভেনার প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন, 'এই সরকারের আমলে এইসব ছোট্ট ঘটনা। সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনিক আমলাদের ওপর। এমন নিম্নমানের কাজ এই এলাকায় অনেক হয়েছে নদী বাঁধ তার একটা উদাহরণ।' তিনি আরও বলেন, 'রাজ্য সরকারের দ্বারা যে সমস্ত কাজ হচ্ছে এলাকায় সবই নিম্নমানের হচ্ছে। প্রশাসনিক আমলারা এই সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের তত্ত্বাবধানে পর্যবেক্ষণ হচ্ছে না। এটা শাসক দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করছে রাজনৈতিক নেতারা। এমন ঘটনা চারিদিকে ঘটছে এবং আগামীতেও ঘটবে, যতদিন না মানুষ এই সমস্ত ধান্দাবাজ এবং তোলাবাজ নেতাদের নির্বাচনের মাধ্যমে পরাস্ত করছে।'
অন্যদিকে চাঁচল ১ নং ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাজী আতাউর রহমান বলেন, "শুধু নদী বাঁধ কেন সর্বস্তরেই কাটমানি। এরা এখানে যা করছে, এদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ। আমরা গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং ঝেঁটিয়ে তাড়িয়ে দেব তৃণমূলকে যারা কাটমানির জন্য নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ দুর্নীতিতে রূপান্তরিত করেছে।"
অপরদিকে চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, "অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" সেচ দফতরের আধিকারিকদের গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলা শাসক।
No comments:
Post a Comment