ভিলেন খারাপ রাস্তা! মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পেল না তিয়াসা
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৩ মে: খারাপ রাস্তার কারণে মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন মিলল না। এমনই দাবী উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছি কুলবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা তিয়াসা দাসের। দত্তপুকুর নিবাধুই বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী তিয়াসা। তার পরীক্ষার সিট পড়েছিল কাশিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার প্রথম দিন ভালোভাবেই পরীক্ষা দেয় সে। কিন্তু ইংরেজি পরীক্ষার দিনই নেমে আসে বিপত্তি।
এদিন নির্দিষ্ট সময়ে টোটোতে চেপে বেরোলেও গঙ্গাপুর চৌমাথায় আসতেই ঘটে দুর্ঘটনা। উল্টে যায় টোটো, গুরুতর চোট পায় তিয়াসা, ভেঙে যায় তার পা। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? জানা গিয়েছে, ২০২৪-এর মধ্যে সকলের দুয়ারে দুয়ারে জল পৌঁছে দিতে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সেই পাইপ-লাইনের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়। কিন্তু পাইপ বসানোর পরেও রাস্তা মেরামত হয় না বলেই অভিযোগ। আর এতেই গঙ্গাপুর চৌমাথায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, ঘটে দুর্ঘটনা। সাধারণ মানুষের আতঙ্কের জায়গা হয়ে ওঠে ঐ এলাকা। আর এখান দিয়েই যাওয়ার সময় টোটো উল্টে ঘটে দুর্ঘটনা, পা ভাঙে তিয়াসার। তীব্র যন্ত্রনা নিয়েই পরীক্ষা দেয় সে।
৭৬ দিনের মাথায় এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। তিয়াসা ওই ভাঙা পা নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিতে। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সে জানায়, হাঁটতে একটু অসুবিধা হচ্ছে, দেড় মাস ধরে পায়ে প্লাস্টার ছিল।
তিয়াসা বলে, 'মাধ্যমিকে ৪১২ পেয়েছি, ৮ নম্বরের জন্য ফার্স্ট ডিভিশন হয়নি। দুর্ঘটনা না হলে হয়তো ফলাফল আর একটু ভালো হতো।' সে বলে, 'রাস্তাটা ঠিক রাখা উচিৎ ছিল। রাস্তার জন্যই দুর্ঘটনাটা ঘটেছিল। এখনও পায়ে ব্যথা আছে।'
সে জানায়, ঐদিন গঙ্গাপুর চৌমাথায় গর্তের মধ্যে চাকা পড়ে টোটো উল্টে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসে তাদের সহায়তায়। তিয়াসা বলে, এই অবস্থায় পাশ করে গিয়েছি, এটাই অনেক। কিন্তু আশা ছিল ফার্স্ট ডিভিশন পাব, নম্বর আরও ভালো হবে।'
এদিন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, 'দ্রুত যেন রাস্তাগুলো ঠিক করা হয়। আগামীতেও মাধ্যমিক বা অন্য পরীক্ষার্থীদের ওখানে অসুবিধা হতে পারে। আমার মতই দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে যে কেউ।'
তিয়াসা জানান, আগামীতে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে।
No comments:
Post a Comment