মা-বাবা হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই মাধ্যমিকে সফল চন্দ্রিমা
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৩ মে: বাবা-মা নেই, বুকে এক রাশ যন্ত্রণা, আর একেই সঙ্গী করে মাধ্যমিকে সাফল্য চন্দ্রিমা ব্যানার্জীর। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৫৫। দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কাশিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এক বছর আগে মায়ের মৃত্যু, সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন প্রয়াত হন চন্দ্রিমার বাবা। পরিবারের বাকিরা তাকে আগলে রাখলেও বাবা-মা হারানোর ক্ষত ছিল গভীর। তবে মাধ্যমিকের ফলাফল হয়তো সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও মলমের কাজ করেছে।
চন্দ্রিমা বলে, 'বাবা-মা থাকলে হয়তো আর একটু ভালো ফল হত।' পাশাপাশি পরিবারের সকলের পাশে থাকার কথাও জানায় সে। আগামীতে আইআইটির পর পিএইচডি করতে চায় চন্দ্রিমা। সে বলে, আশা করেছিলাম ৫৬০-র মধ্যে নম্বর পাব। তবে ইংরেজিতে লেটার পাব আশা করেছিলাম।' চন্দ্রিমা বলে, 'যখন খুশি পড়তে বসতাম, যেদিন ইচ্ছে হত সারাদিন পড়তাম, নাহলে নয়।'
সে জানায়, পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বইয়ের প্রতি তার ঝোঁক। এছাড়াও ছবি আঁকা নাচ শেখা ইত্যাদিও করে চন্দ্রিমা। সে জানায়, পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও খুব খুশি তার এই রেজাল্টে। তবে, আক্ষেপের সুরে চন্দ্রিমা বলে, 'বাবা-মা থাকলে হয়তো রেজাল্ট আরও ভালো হতো।' সে বলে মা থাকলে ইংরেজির জন্য একটু বকতেন, বাবা সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে বেরাতেন, খুব খুশি হতেন।
চন্দ্রিমা জানায়, সে চাকরি করতে চায় না। তাঁর কথায়, 'মা চাইতেন সে জার্নালিস্ট হোক, বাবা অবশ্য চাইতেন, মেয়ে খুশি মতো যা চায় হোক। কিন্তু, আমি মেকানিক্যাল বা বায়ো মেডিক্যালে ইঞ্জিনিয়ারিং করে আইআইটি করে পিএইচডি করতে চাই।'
No comments:
Post a Comment