দিদির সাফল্যই পাথেয়, মাধ্যমিকে অষ্টম দিনহাটার প্রত্যুষা
নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার, ১৯ মে: দিদির পর এবার বোন। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হতেই উল্লাস দিনহাটায়। দিদি প্রেরণা বর্মন গত বছর উচ্চমাধ্যমিকে অধিকার করছিলেন দশম স্থান। আর দিদির সেই সাফল্যকে জেদ হিসেবে মনে গেঁথে নিয়েছিলেন ছোটবোন প্রত্যুষা। আর তাতেই বাজিমাত। এবারের মাধ্যমিকে দিদির থেকেও দুই ধাপ এগিয়ে এক্কেবারে অষ্টম স্থান অধিকার করে নিয়েছে প্রত্যুষা বর্মন। দিনহাটা গোপাল নগর এমএসএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রত্যুষার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫।
প্রত্যুষার বাবা তরণী কান্ত বর্মন পেশায় স্কুল শিক্ষক। মা শিক্ষিকা। পরিবারের সদস্য বলতে মা-বাবা আর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে প্রেরণা গতবারেই উচ্চ মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছিলেন। আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আরও একধাপ এগিয়ে প্রত্যুষা এবারে রাজ্যের মধ্যে মাধ্যমিকে অধিকার করে নিলেন অষ্টম স্থান।
প্রত্যুষার বাবা মা দুইজনেই জানান, বড় মেয়ে প্রেরণার সাফল্যের পর সেটাকে পাথেয় করে এবারের মাধ্যমিকের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে প্রত্যুষা। তবে তারা এটাও জানায় শুধু পড়াশোনাতেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতো না প্রত্যুষা। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ-গান, আবৃত্তি সবকিছুতেই সমান দখল রয়েছে তার।
প্রত্যুষা জানান, টিভিতে যখন দেখাচ্ছিল এবারের মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় কোচবিহারে রয়েছে মাত্র তিনজন, সেই সময় সেই কিছুটা আশাহত হয়েছিলেন। তবে আশাহত হলেও নিজের পড়াশোনার ওপর ছিল জোর আত্মবিশ্বাস। তিনি জানান, মেধাতালিকাদের স্থান নেবে সেটার আত্মবিশ্বাস আগে থেকেই ছিল। প্রত্যুষা দিনে ৭-৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন এবং ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করতে চায়।
একই বাড়িতে দিদির পর বোনের সাফল্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, গত বছর উচ্চমাধ্যমিকে দিদির সাফল্য তার কাছে একটা অনুপ্রেরণা। এছাড়াও তার দিদি প্রেরনা বর্মন তাকে পড়াশোনা করার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা করেছিল।
প্রত্যুষার দিদি প্রেরনা বর্মন জানা, বোন যে মেধা তালিকায় স্থান নেবে সেটা আগের থেকেই তার বিশ্বাস ছিল। তিনি আরও জানায়, বোনের এই সাফল্যে তিনি যথেষ্ট খুশি এবং আগামী দিনে বোন যেন আরও ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করবেন।
No comments:
Post a Comment