রাজ্যে ফের শুরু 'জনতা দরবার'! সমস্যার সমাধান হবে মুখ্যমন্ত্রীর দোরগোড়ায়
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৫ মে, কলকাতা : রাজ্যে ফের শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জনতার দরবার। রবিবার থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচি শুরু করলেও করোনার সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার থেকে আবার শুরু হয়েছে। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের পাশে মিলন সংঘ ক্লাবে অভিযোগ তোলা হবে এবং সমাধান করা হবে।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সিকে অভিযোগ নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি রবিবার এই কর্মসূচি পালন করা হবে এবং জনগণের সমস্যার সমাধান করা হবে।
মমতা সরকার জনগণের সাথে জনসংযোগের জন্য 'দিদিকে বলো' প্রচার শুরু করেছিল, যেখানে অভিযোগ এবং সমস্যার তথ্য সরাসরি প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছিল। এর পরে, তৃণমূল সরকার আবার 'দিদির দূত' পরিষেবা নিয়ে এসেছিল, যেখানে জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে যান।
তার পরে, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস 'দিদির সুরক্ষা কবচ' প্রচার শুরু করেছিল যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হেঁটে জেলায় জনসংযোগ সফর করছেন।
এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে শুরু হয়েছে 'জনতা দরবার'। যদিও এই কর্মসূচি আজকের নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই জনতা দরবার শুরু হলেও করোনার সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। আগামীকাল রবিবার থেকে আবার শুরু হয়েছে।
জানা যায়, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তাটি মিলন সংঘের। একই সঙ্গে প্রতি রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এই জনসংযোগ কর্মসূচির তদারকি করবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
গতকাল সুব্রত বক্সী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক নির্মল মাজি, কাউন্সিলর কাজরী ব্যানার্জি প্রমুখ। প্রয়োজনে প্রশাসনের অফিসাররাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ এই দরবারে এসে তাদের সমস্যা বলতে পারবেন। সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধান করে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
বলা হয়েছে যে কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যাপার নয়, যে কেউ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসে তাদের সমস্যা এমনকি তাদের মতামতও জানাতে পারেন। আপনি যদি কোনও চিঠিপত্র পাঠাতে চান, তা সজ্জিত করা যেতে পারে।
এর আগে প্রতি রবিবার নিয়মিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। সুব্রত বক্সী, ববি হাকিমসহ দলের অনেক নেতা-মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৩০০-৪০০ লোক আসতেন এবং তাদের সমস্যার সমাধান করতেন।
No comments:
Post a Comment