'ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্য চাকরি গেল ৩৬ হাজার ছেলে-মেয়ের', বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 15 May 2023

'ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্য চাকরি গেল ৩৬ হাজার ছেলে-মেয়ের', বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা

 


'ডিএ আন্দোলনকারীদের জন্য চাকরি গেল ৩৬ হাজার ছেলে-মেয়ের', বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা


নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৫ মে, কলকাতা : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারর চাকরি বাতিল করেছেন।  এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবারই নবান্নে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে এ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।  সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ডিএ-র দাবীতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন।


 

  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অনেকে আমাকে ফোন করে দেখা করতে চায়।  চাকরি হারানোর কারণে প্রচণ্ড বিষণ্নতায় ভুগছেন।  অনেকেই আমাদের কাছে সাহায্য চাইছেন।  আদালতে বিচারাধীন বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলব না।  তবে সরকারের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলব।  মামলার নতুন নিয়োগ হচ্ছে না।  যারা ডিএ-এর জন্য হাহাকার করছে, তাদের জন্য চাকরি হারাবে ৩৬ হাজার ছেলে-মেয়ে।  তাই আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  যতদূর আইনি লড়াই করতে হবে আমরা লড়ব।  দয়া করে কেউ বিষণ্ণতায় ভুগবেন না।"


  

  ডিএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের নিশানা করেন মমতা।  তিনি বলেন, '৩ শতাংশ ডিএ পাওয়ার পরও যারা মিছিল করছেন তাদের জন্য চাকরি হারিয়েছেন এরা। দিল্লীতে আমাদের ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা পড়ে আছে। সেই টাকা এনে দিন না।  আমি ৩% ডিএ দিয়েছি, টাকা এনে দিল আরও ৩% দেব।  এখন সরকারি কর্মচারীদের বেতন-পেনশন সময়ে পৌঁছে যায়, আগে এমনটা হত না।"



মমতা বলেন, 'সরকারি চাকরির জন্য কর্মচারীরা বেতনের সঙ্গে অন্যান্য সুবিধা পান।  তবে সপ্তাহে দু-তিনবার অফিসের সব কাজ ফেলে চার-পাঁচ ঘণ্টা রাস্তায় মিছিল করলে মানুষ পরিষেবা পাবে না। এটায় কি সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না? কেউ মিছিল করতে না করে নি, অফিস টাইমের বাইরে করুন।'



  মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন যে ডিএ আন্দোলনকারীরা হাসপাতাল এবং জরুরি পরিষেবা অফিসের সামনে মিছিল করন।  মমতা আরও বলেন, 'ওয়ান ওয়ে হরিশ মুখোপাধ্যায় রোডে বিক্ষোভকারীদের মিছিলের জন্য অনেক ঝামেলা হয়েছিল।'  তিনি বলেন, 'আপনি আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।  আমি সরকারি কর্মচারীদের আমার পরিবারের সদস্য মনে করি।  কিন্তু, সিপিএম-বিজেপির গ্যাসে ব্যাঙের মা হয়ে উঠেছে।  ২০০০ সালের কাগজ নেই, ১৯৮০ সালের কাগজ নেই।  সব জায়গায় কো অর্ডিনেশন কমিটির লোকজন বসে আছে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad