চাকরি বাতিল মামলায় নয়া মোড়! ৩৬ নয় অপ্রশিক্ষিত ৩০১৮৫, সংশোধনী চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ মে, কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই মামলায় এবারে নয়া মোড়! চাকরি বাতিলের সেই রায়ের সংশোধন চেয়ে এবারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সোমবার আদালতে তিনি জানান, অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়, ৩০,১৮৫। এই বিভ্রান্তি হয়েছে টাইপোগ্রাফিক্যাল ত্রুটির জন্য। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি, এই অভিযোগে ১৪০ জন পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। আরও অভিযোগ উঠেছিল, ঐ নিয়োগের সময় কোনও অ্যাটিটিউড টেস্ট নেওয়া এবং সংরক্ষণের নীতি মানা হয়নি। সেই মামলায় গত শুক্রবার ১২ ই মে নজিরবিহীন রায় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একসঙ্গে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। তবে, বাকি প্রশিক্ষিতদের চাকরি বহাল থাকছে। এই নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। সেই আবহেই এদিন সোমবার আদালতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীদের আইনজীবী। তিনি জানান, 'অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়, ৩০ হাজার ১৮৫। লেখায় ভুল হয়েছে।'
এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার এই মর্মে শুনানির আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রাথমিকে অপ্রশিক্ষিত ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিল পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবারে সেই মামলা করার অনুমতি পায় পর্ষদ। এর পাশাপাশি চাকরিহারা শিক্ষকরাও কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাদের বক্তব্য না শুনে কীভাবে একক বেঞ্চ নির্দেশ দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মামলা দায়ের চাকরিহারাদের।
No comments:
Post a Comment