কলকাতায় আসছেন কেজরিওয়াল, মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২১ মে, কলকাতা : মঙ্গলবার কলকাতায় আসছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত কয়েক মাস ধরে, বিভিন্ন অ-বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করছেন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলিকে এক করার চেষ্টা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলিকেও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে কলকাতায় এসেছিলেন জিডিএস নেতা কুমারস্বামী। তার আগে কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। কয়েকদিন আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন।
এবার আসছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লক্ষণীয়, সমস্ত আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক এক নয়। যেমন কর্ণাটক নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস জিতেছে।
কংগ্রেসের জয়ের পর নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদবকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও কেজরিওয়াল, কেসি রাও, পিনারাই বিজয়ন প্রমুখকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কর্ণাটকের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি, বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এক সাংসদকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাঠিয়েছিলেন।
সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবকে আবারও আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ ঘটনায় রাজনৈতিক সমীকরণ খুঁজছেন অনেকেই। কেরালায় সরকার চালায় সিপিএম-এর নেতৃত্বাধীন এলডিএফ অর্থাৎ বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। সেখানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
ফলস্বরূপ, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে সেই স্থান থেকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তবে সিপিএম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের সাথে করমর্দন করতে দেখা গেছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কলকাতায় দেখা করবেন
এটা এখন গুরুত্বপূর্ণ যে কংগ্রেস সমস্ত অ-বিজেপি দলের সাথে সমান যোগাযোগে নেই। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কও খুব একটা ভালো নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে সমান দূরত্ব বজায় রেখে দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধীকে অভিনন্দন জানাননি, কিন্তু বিজেপির নীতির কারণে এই জয়কে জনগণের অসন্তোষ বলে জানিয়েছেন।
একইভাবে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও কংগ্রেসের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই। গুজরাট বা পাঞ্জাব নির্বাচনে আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সবার চোখ থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বৈঠকের দিকে।
No comments:
Post a Comment