পাকিস্তানে পরিস্থিতি আরও খারাপ! ইমার্জেন্সি সুপারিশ শেহবাজ মন্ত্রিসভার
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ মে : পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে জরুরি অবস্থা জারি করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ফেডারেল মন্ত্রিসভায় ভাষণ দেন। এই সময় তিনি বলেন যে, "পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সভাপতি ইমরান খান এবং তার দল উভয়ই মিথ্যাবাদী।" মন্ত্রিসভার বৈঠকে শাহবাজ ইমরানের সরকারের পতনের কথাও উল্লেখ করে বলেন, "সরকার পতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।"
শাহবাজ শরীফ বলেন, "পিটিআই নেতৃত্ব দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। দেশ ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। এটা উপর থেকে করা হচ্ছে।" তিনি বলেন, "আমাদের দেশের মুদ্রার অবস্থা খুবই কঠিন। আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ পেয়েছি, যার কারণে অবস্থা এখনও অবনতি হচ্ছে।" ইমরান খানকে সরাসরি আক্রমণ করে শাহবাজ বলেন, "আগের সরকার আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এখন এটি ঠিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আদালতের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শাহবাজ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইমরানের সরকারে যখন আমাদের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছিল, তখন আদালত নীরব ছিল। তিনি বলেন, “আমাদের কারাগারে পাঠানোর সময় তারা (আদালত) কি কখনও এটা দেখেছিল?"
ইমরানের গ্রেপ্তারের পর যে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "১৯৭৩ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে এমনটি দেখা গেছে।" তিনি বেনজির ভুট্টোর যুগের কথাও স্মরণ করেন এবং বলেন যে "বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পরেও বিক্ষোভ হয়েছিল, কিন্তু কেউ সেনা স্থাপনাকে লক্ষ্য করেনি।"
এর আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির গুজব সম্পর্কে যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন যে পরিস্থিতি যদি এমনই থাকে, তবে জরুরি অবস্থা একটি সাংবিধানিক বিকল্প। কিন্তু দেশে সামরিক আইনের বিকল্প নেই।
No comments:
Post a Comment