বাংলাদেশ থেকে আসা লোকজন পাবে তাদের জমিতে মালিকানা! সিদ্ধান্ত মমতা সরকারের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৫ মে, কলকাতা : মমতা সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর নিয়ম পরিবর্তন করেছে। এতে বলা হয়, ১৯৪৮ সালের ভূমি উন্নয়ন আইন অনুযায়ী স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ থেকে আসা সব পরিবারকে সরকার জমি দিয়েছিল, এখন তাদের মালিকানা দেওয়া হবে। জানা যায়, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, সেই সময়ে কলকাতার বৈষ্ণবঘাট, ব্যারাকপুর, পূর্ব পুঁটিয়ারি, গোপালনগর, পর্ণশ্রী, সোদপুর, তৎকালীন চব্বিশ পরগনার কিছু অংশে অল্প টাকায় বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তুদের জন্য বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, সে সময় এ ধরনের প্রায় আড়াই হাজার প্লট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, প্লট তৈরিতে চার থেকে পাঁচ কাঠা জমি ব্যবহার করা হতো। সে সময় বাংলাদেশ থেকে আগতদের জন্য প্রায় ২০০ একর জমি প্লট তৈরিতে ব্যয় হয়।
এদিকে, অনেক পরিবার ওই সময় এসব জায়গার পুরো খরচ সরকারকে দিতে পারেনি এবং এজন্য তাদের মালিকানাও দেওয়া হয়নি।
আবার কিছু প্লটে আবাসনও তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কেউ যদি এই বাড়িগুলিতে ফ্ল্যাট কিনতে ঋণ নিতে চান, তবে তাকে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। রাজ্য সরকার তাঁকে উদ্বাস্তু কলোনিতে জমি দিয়েছে।
অন্যদিকে সরকারও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে না। এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে একটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাদের জমি আছে তারাও ভূমি উন্নয়ন আইন, ১৯৪৮-এর অধীনে জমি বিক্রি করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।
প্লট দেওয়ার সময় অধিগ্রহণের মূল্য অনুযায়ী সুদ যোগ করা হবে এবং তার ভিত্তিতে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে। এতে সরকারও লাভবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামীতে ট্যাক্স থেকে ভালো অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হতে পারে। এতে সরকার ছাড়াও অনেকে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment