সোনার খনিতে বিধ্বংসী আগুন, মৃত ২৭
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ মে : সোনার খনিতে ভয়াবহ আগুন। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু। ঘটনাটি পেরুর। আধিকারিকদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে সেটি একটি ছোট সোনার খনি। তিনি জানান, "শর্ট সার্কিট থেকে সোনার খনিতে আগুন লেগেছে।"
ইয়ানকিহুয়া এই ছোট সোনার খনি চালায়। ইয়ানকিহুয়া একটি ছোট স্কেল ফার্ম। বর্তমানে এই ঘটনার বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি। স্থানীয় প্রসিকিউটর জিওভানি মাতোস রবিবার স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেছেন যে সোনার খনি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৭ জন মারা গেছে, যা ইয়ানকিহুয়া থানা নিশ্চিত করেছে।
পেরুর মন্ত্রী পরিষদ আরেকুইপায় ইয়ানকিহুয়া খনিতে আগুন লেগে নিহত খনি শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে, সিএনএন রিপোর্ট করেছে। পেরুর মন্ত্রী পরিষদ স্প্যানিশ ভাষায় ট্যুইট করেছে, "আরেকুইপা অঞ্চলের ইয়ানকিহুয়া খনি শ্যাফ্টে আগুনে নিহত খনি শ্রমিকদের পরিবারের সাথে আমরা আমাদের সংহতি প্রকাশ করছি।"
পেরুর প্রেসিডেন্ট ট্যুইটারে এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, "মন্ত্রণালয়গুলি মৃতদেহ উদ্ধার ও স্থানান্তরের জন্য কাজ করছে, সিএনএন জানিয়েছে। এছাড়াও, পেরুভিয়ান সরকার আঞ্চলিক সরকার এবং কনডেসুয়োস পৌরসভাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।"
পেরুর প্রেসিডেন্সি ট্যুইট করেছে, "আমরা ২৭ জন খনি শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য আরেকুইপার স্বজন এবং জনগণের প্রতি আমাদের সমবেদনা প্রকাশ করছি।" এতে আরও বলা হয়েছে, "@MininterPeru এবং @MindefPeru-এর মন্ত্রনালয়গুলি এই ট্র্যাজেডির শুরু থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার ও সরানোর জন্য কাজ করছে৷ সরকার হিসাবে, আমরা এই মুহূর্তে আঞ্চলিক সরকার এবং কনডেসুয়োস পৌরসভার প্রতি আমাদের সমস্ত সমর্থন প্রসারিত করছি৷ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।"
পেরু হল বিশ্বের শীর্ষ সোনা এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম তামা উৎপাদনকারী দেশ। পেরুর জ্বালানি ও খনি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০০০ সালের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক খনির দুর্ঘটনা। খনন সংক্রান্ত দুর্ঘটনা এখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে। গত বছর সারা দেশে প্রায় ৩৮ জন মারা গিয়েছিল। ২০০২ সালে, পেরুতে খনির বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রায় ৭৩ জন নিহত হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment