জাল শংসাপত্র দিয়ে চাকরি! গ্রেফতার প্রাথমিকের স্কুল শিক্ষিকা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 14 May 2023

জাল শংসাপত্র দিয়ে চাকরি! গ্রেফতার প্রাথমিকের স্কুল শিক্ষিকা


জাল শংসাপত্র দিয়ে চাকরি! গ্রেফতার প্রাথমিকের স্কুল শিক্ষিকা



নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৪ মে: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। শুক্রবার ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যা নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যাপক শোরগোল রাজ্য জুড়ে। সেই আবহেই এবার মালদায় এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, তফশিলি জাতির জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যে দেড় বছর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন ওই শিক্ষিকা। ঘটনা মালদা জেলার মানিকচকের। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল।

    

জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এরপর আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন মালদার সদর মহকুমাশাসক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে শনিবার অভিযুক্ত ওই প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, চলছে তদন্ত। 

     

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চাঁপা মণ্ডলের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে। ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্ণাহি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। তিনি তফশিলি কোটায় সেই চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত নথিপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। 

   

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে এক ব্যক্তি চাঁপা দেবীর নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় বিচারপতি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা সদর মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক সব খতিয়ে দেখে মানিকচক থানায় চাঁপা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ চাঁপা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। এদিন তাঁকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে যাওয়ার পথে এনিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও অভিযুক্ত শিক্ষিকা মুখ খোলেনি, কিছু বলতে চায়নি পুলিশও।

      

তবে এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন, "ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সদর মহকুমাশাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পুলিশে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই মানিকচক থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে, তদন্ত শুরু করেছে।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad