বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু দুই যুবকের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৫ মে, কলকাতা : সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে আর ফেরা হল না বাড়ি। পুরী বেড়াতে গিয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই যুবকের নাম অজয় দাস ও অরিন্দম দাস। দুজনেই শ্রীরামপুরের বাসিন্দা।
অজয় দাস এবং অরিন্দম দাস, শ্রীরামপুর বঙ্গলক্ষ্মী বাইলেন এলাকার বাসিন্দা। মোট ছয় বন্ধু মিলে পুরী গিয়েছিল। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে আটবার বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। গতকাল, বৃহস্পতিবার সকালে তারা পুরী পৌঁছান। অরিন্দমের স্বজনরা জানিয়েছেন, হোটেলে পৌঁছে তাঁরা ভিডিও কলে কথা বলেন। এটাই শেষ কথা।
জানা গেছে, গতকাল, বৃহস্পতিবার পুরীতে পৌঁছে তিনি সমুদ্রে স্নান করতে যান। অন্য চার বন্ধু স্নান থেকে বেরিয়ে আসার সময়, অজয় এবং অরিন্দম ডুবে যায়। এ ঘটনায় দুই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অজয়ের দাদা সুভাষ বলেন, 'আমার ভাই টোটো চালাত। সময় পেলেই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হত। এর আগে আটবার পুরী গিয়েছিল। এবার যে কী হল!” অরিন্দম একজন বীমা এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তার মা সুদীপ্ত দাস বলেন, "ছেলেটি হোটেলে ঢুকে ফোন করে। তারপর কিছু কথা হয়নি। বারোটার পর সে নিশ্চয়ই স্নান করতে জলে নেমেছিল। পাঁচটার পর থানা থেকে ফোন করে বলল, আপনার ছেলে মারা গেছে।"
চলতি সপ্তাহে পুরীর সাগরে স্নান করতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। শিবপুর থানার অন্তর্গত ১ নং আচার্য্য পাড়া লেনের একটি পরিবার ১ মে পুরীতে রওনা হয়েছিল। এই বাড়িতে পাঁচজন সদস্য ছিল। রঞ্জন দাস পুরী গেলেন। তার সাথে তার স্ত্রী, ছেলে, ভাগ্নে ও তার মা ছিলেন। সাগরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যায় তিনজন। ভাগ্নে সায়ন মাইতিকে দ্রুত সেখানে নুলিয়ারা বাঁচাতে পারে। কিন্তু ৫২ বছর বয়সী রঞ্জন দাস এবং তার ১৬ বছর বয়সী ছেলেকে বাঁচাতে কিছুটা সময় লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে পুরী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সায়ন মাইতি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
No comments:
Post a Comment