ইউক্রেনে 'ফসফরাস বোমা' নিক্ষেপ রাশিয়ার! জেনে নিন কতটা বিপজ্জনক?
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ মে : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও কোনও টার্নিং পয়েন্টে আসেনি। ইউক্রেন রাশিয়ার দ্বারা বিভিন্নভাবে আক্রমণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন ইউক্রেন দাবী করেছে যে রাশিয়া তার শহর বাখমুতে ফসফরাস বোমা ফেলেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ধ্বংসযজ্ঞের একটি ভিডিওও শেয়ার করেছে। ধ্বংসযজ্ঞের ড্রোন থেকে তোলা ফুটেজে ফসফরাস বোমার ধ্বংসলীলা স্পষ্ট দেখা যায়। তবে, যুদ্ধের সময় জনবহুল এলাকায় এটি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফসফরাস বোমা ফেলার অভিযোগ এই প্রথম নয়। এই ফসফরাস বোমাটি কী এবং এটি কতটা বিপজ্জনক।
ফসফরাস বোমা কি?
ফসফরাস একটি নরম রজনী রাসায়নিক। এটি কেনার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও তা থেকে তৈরি বোমা ব্যবহারের বিষয়ে নিয়ম করা হয়েছে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে ফসফরাস দ্রুত জ্বলতে শুরু করে। ফলে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যা থেকে রসুনের গন্ধ আসে।
কত বিপজ্জনক?
ফসফরাসের তাপমাত্রা ৮০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি। বিস্ফোরণের ফলে এর কণা বহুদূরে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের দেহের সংস্পর্শে এসে একজন ব্যক্তির জীবনও নষ্ট হতে পারে। এর ধোঁয়া যেকোনও মানুষের শ্বাসরোধ করতে পারে। ফসফরাস ত্বকের অভ্যন্তরীণ টিস্যুকে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শুধু তাই নয়, অভ্যন্তরীণ অঙ্গেরও ক্ষতি করে।
রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি জানিয়েছে, ফসফরাসের প্রভাব শত শত কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল এই বোমাগুলি সেই জায়গার অক্সিজেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলতে থাকে। আক্রান্ত স্থানে উপস্থিত ফসফরাস কণা মানুষের শরীরে লেগে থাকে এবং এতে উপস্থিত ফসফরিক পেন্টক্সাইড রাসায়নিক ত্বকে উপস্থিত জলের সাথে বিক্রিয়া করে ক্ষতি করে।
ফসফরাস বোমা সংক্রান্ত নিয়ম
১৯৭৭ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সাদা ফসফরাস ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়ম প্রণয়ন করা হয়। যার অধীনে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী জনাকীর্ণ এলাকায় ফসফরাস বোমা ব্যবহার করা হলে তা রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে।
No comments:
Post a Comment