আইনি লড়াইয়ের ভাবনা! '৩৬ হাজারের কেউ এখন অপ্রশিক্ষিত নয়', দাবী পর্ষদ সভাপতির - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 12 May 2023

আইনি লড়াইয়ের ভাবনা! '৩৬ হাজারের কেউ এখন অপ্রশিক্ষিত নয়', দাবী পর্ষদ সভাপতির


আইনি লড়াইয়ের ভাবনা! '৩৬ হাজারের কেউ এখন অপ্রশিক্ষিত নয়', দাবী পর্ষদ সভাপতির 



নিজস্ব প্রতিবেদন, ১২ মে, কলকাতা: প্রাথমিকে অপ্রশিক্ষিত ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, 'রায় হাতে পাইনি, তবে এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করব।' 


এদিন পর্ষদ সভাপতি বলেন, "৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে বিরাট বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। বোর্ড আইনি পরামর্শ নিচ্ছে, আমরা এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করতে যাচ্ছি।' যদিও এই ব্যাপারে হাইকোর্টের অর্ডার হাতে পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। এদিন চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পর্ষদ সভাপতি বলেন, 'আমরা উচ্চ আদালতে যেতে পারি,আইনি পরামর্শ নিচ্ছি ।এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই বিষয়ে।'


সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি এও দাবী করেন, 'যাদের প্রশিক্ষণ নেই বলা হয়েছে, তারা কিন্তু কেউ অপ্রশিক্ষিত নয়। তিনি বলেন, ৩৬ হাজার শিক্ষকের মধ্যে কেউ এখন আর প্রশিক্ষণহীন নয়। তাদের ওডিএল মডে প্রশিক্ষণ করিয়েছে পর্ষদ।' এমনকি এনসিটিই নিয়ম মেনেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। 


এছাড়াও পর্ষদ সভাপতির দাবী, যাঁরা পরীক্ষক, তারা অ্যাপটিটিউড টেস্টে নম্বর দিয়েছেন তার মানে পরীক্ষা হয়েছে। তারা যা নম্বর দেবে সেটাই দেখার, পর্ষদের এখানে কিছু করার নেই। প্রত্যেকে অ্যাপটিটিউড টেস্টে নম্বর পেয়েছেন, এর থেকে প্রমাণিত যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছে। 


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি, এই অভিযোগে ১৪০ জন পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। আরও অভিযোগ উঠেছিল, ঐ নিয়োগের সময় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া এবং সংরক্ষণের নীতি মানা হয়নি। সেই নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কী রায় দেন, সেদিকেই নজর ছিল সকলের। আর শুক্রবার নজিরবিহীন রায় দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একসঙ্গে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে, বাকি প্রশিক্ষিতদের চাকরি বহাল থাকছে। 


যদিও এই মুহূর্তে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হচ্ছে না ২০১৬-তে প্রাথমিকে নিয়োগ পাওয়া অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের। হাতে চার মাস সময় পাবেন তারা এবং বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের হারে। উল্লেখ্য, এই সময়কালের মাঝে কেউ যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, তারা অবশ্য একটি সুযোগ পাবেন ইন্টারভিউতে বসার। কিন্তু যারা অপ্রশিক্ষিত হয়েও চাকরিতে ঢোকার পর এখনও প্রশিক্ষণ নেননি, তাদের চাকরি সম্পূর্ণভাবে বাতিল হচ্ছে।


চাকরি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি এদিন আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।


 এদিকে এই চাকরি বাতিলের রায়-প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ঐতিহাসিক রায়। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে বাজারে পরিণত করা হয়েছে। হাজার হাজার লোককে অনৈতিকভাবে চাকরি দিয়েছিল, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে বোঝা যাচ্ছে।'


বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'চাকরি খারিজের এই দায় পুরোপুরি রাজ্য সরকারের।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad