১১৪ বছরের প্রাচীন করুণাময়ী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি! উধাও ১০ ভরি সোনা
নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার, ২২ মে: ১১৪ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাজ আমলের শ্রী শ্রী করুণাময়ী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল রবিবার রাতে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই মন্দির। কোচবিহারের ১৫৪ টি স্থাপত্য হেরিটেজের তালিকায় থাকা এই মন্দিরে চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নিরাপত্তা নিয়ে।
মন্দির কমিটির সম্পাদক বাবন পাল বলেন, সোমবার সকালে মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য ধীমান বাবু এসে মন্দির খোলার সময় দেখতে পান সমস্ত তালা খোলা রয়েছে। তিনি গিয়ে পাড়ার সবাইকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, মোট ৯টি তালা ভাঙা হয়েছে মন্দিরের।
মন্দির কমিটির সম্পাদকের বক্তব্য অনুযায়ী বিগ্ৰহের শরীর থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ ভরি সোনা উধাও। ঘটনাটি মাঝরাত নাগাদ হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। নিত্যানন্দ আশ্রম নিত্যানন্দ স্বামীর হাতে প্রতিষ্ঠিত রাজ আমলের এই মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মন্দির কমিটির ছিল। চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী ধীমান কুমার ভৌমিক বলেন, 'বিগ্রহ যে স্থানে থাকে সেই স্থান থেকে টেনে এগিয়ে আনা হয়েছিল। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবী করে অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে মায়ের শরীরের সম্পূর্ণ চুরি যাওয়া গহনা ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অপরদিকে বাবন পাল জানান, অবিলম্বে গোটা ঘটনার পূর্ণ এবং দ্রুত তদন্তের দাবীতে আজ কোচবিহার জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করবে এলাকাবাসী।
কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ ভাঙা নয়টি তালা উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নিত্যানন্দ আশ্রম অর্থাৎ দশমীর ঘাট, সন্ধ্যের পরে এই ঘাটের অবস্থা হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। বিশেষ করে রাতের দিকে দুষ্কৃতী, সমাজবিরোধী এবং নেশাগ্রস্থ মানুষের আড্ডা বাড়ে ক্রমে ক্রমে। এলাকাবাসীর বক্তব্য এই নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোন লাভ হয়নি। অবিলম্বে এই অবৈধ আড্ডা এবং দুষ্কৃতী জমায়েত বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন তারা।
No comments:
Post a Comment