অভিশপ্ত নদী! ভুলেও এর জল স্পর্শ করেন না কেউ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ মে: ভারতের মতো দেশে নদীকে পূজা করা হয়। এখানে নদীকে মায়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। গঙ্গা, যমুনার মতো নদীগুলিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং তাদের ঈশ্বরের মতো পূজা করা হয়। তবে এদেশে এমন একটি নদীও আছে যেখান থেকে মানুষ সবসময় দূরে থাকতে চায়। এই নদী থেকে দূরে থাকার কারণ এর গভীর জল বা বিপজ্জনক প্রাণীর বসবাস নয় বরং এই নদীকে দেওয়া অভিশাপ। এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক, সেই নদীর সাথে জড়িত অভিশাপের কথা।
এই নদীর নাম কর্মনাশা। এটি উত্তর প্রদেশ ও বিহারে প্রবাহিত হয়। এর নামেই বোঝা যায় যে, এই নদী আপনার কর্মকে ধ্বংস করে। ইউপির সোনভদ্র, চন্দৌলি, বারাণসী এবং গাজিপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই নদীটি বক্সারের কাছে পৌঁছে গঙ্গায় মিলিত হয়েছে। কিন্তু দুই রাজ্যের মানুষ এই নদীর জল ব্যবহার করা তো দূর, ছুঁতেও ভয় পায়। একদিকে যেখানে নদীতে স্নান করতে যাওয়া নিয়ে মানুষ উচ্ছ্বসিত হন, অন্যদিকে মানুষ এই নদীর তীরে যেতেও ভয় পান। বিশেষ করে যদি তিনি কোনও শুভ কাজ করতে যাচ্ছেন।
কিন্তু কেন এমন? পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কথিত আছে যে একবার রাজা হরিশচন্দ্রের পিতা সত্যব্রত তার গুরু বশিষ্ঠের কাছে দেহ নিয়ে স্বর্গে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। গুরু তার ইচ্ছা পূরণ করতে অস্বীকার করেন এবং তারপর রাজা সত্যব্রত গুরু বিশ্বামিত্রকে অনুরোধ করেন। বশিষ্ঠের সঙ্গে বিশ্বামিত্রের শত্রুতা ছিল, এই কারণে তিনি সত্যব্রতকে তাঁর তপস্যার জোরে স্বশরীরে স্বর্গে পাঠিয়েছিলেন। এই দেখে ইন্দ্রদেব রেগে যান এবং রাজার মস্তক নীচের দিকে করে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন।
এর পর বিশ্বামিত্র তাঁর তপস্যায় রাজাকে স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে থামিয়ে দেবতাদের সাথে যুদ্ধ করেন। রাজা সত্যব্রত আকাশে উল্টো ঝুলে ছিলেন, যার কারণে তাঁর মুখ থেকে লালা ঝরতে থাকে। লালা পড়ার কারণে নদীটি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন গুরু বশিষ্ঠ রাজা সত্যব্রতকে চন্ডাল হওয়ার অভিশাপ দেন। রাজার লালা নদীতে পরিণত হওয়ায় এবং অভিশাপ পেয়ে এই নদীও অভিশপ্ত হয়েছে বলে এখন মানুষ বিশ্বাস করেন।
বি.দ্র: সংবাদে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটিকে সত্য বলে দাবী করে না।
No comments:
Post a Comment