'মিনি মোচা'র ঝলক! ঝড়ে লণ্ডভণ্ড তিলোত্তমা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৫ মে, কলকাতা: বিকেল হতে না হতেই শহর জুড়ে নেমে এল আঁধার। মুহূর্তেই দমকা হাওয়া, সঙ্গে ধুলোর ঝড়। নিষেষেই প্রবল বৃষ্টি ও সঙ্গে বজ্রপাত। সোমবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতাবাসী। আচমকাই প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, দুলতে শুরু করে গাছপালা। একাধিক দোকানের সাইন বোর্ড ভেঙে পড়ে ঝড়ের ধাক্কায়। কিছু সময়ের মধ্যেই কার্যত সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রাস্তায় থাকা মানুষজন।
এই ঝড়ের কারণে মুহুর্তেই ছোট-বড় গাছ ভেঙে পড়ার খবর মেলে একাধিক জায়গায়। একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ব্যাহত হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। যদিও তৎপর ছিলেন পুরকর্মীরা। শহরের রাস্তায় নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, চলছে গাছ সরানোর কাজ। এছাড়াও কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিস ফেরত যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ ট্রাফিকে আটকে থাকতে দেখা যায়। ঝড়ের দাপটে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
কেবলমাত্র তিলোত্তমায় নয়, জেলায় জেলায় এদিন বিকেলের পর ঝড় দেখা যায়। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানেও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। ভাতারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ যাত্রার আটকে পড়ে এই ঝড়ের কারণে অভিষেকের কনভয়ে ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার। তুমুল হুলুস্থুল পড়ে যায়।
রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'মোচা' আছড়ে পরে বাংলাদেশে এবং ময়নামার উপকূলে ঘন্টায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ২১০ কিলোমিটার। তবে এই রাজ্যে মোচার উল্টো প্রভাব পড়েছিল, বৃদ্ধি পেয়েছিল তাপমাত্রা, জেলায় জেলায় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাপপ্রবাহের।
গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত ছিল তিলোত্তমাবাসীর। তবে, এদিন ঝড়-বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি এদিন যে কলকাতা সহ একাধিক জেলা 'মিনি মোচা'র ঝলক দেখল- একথাও বলাই যায়। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী ১৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে।
No comments:
Post a Comment