গোপনে টেন্ডার! প্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৬ মে: টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা। গোপনে টেন্ডার করার অভিযোগ উঠল মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। সমস্ত সদস্যকে অন্ধকারে রেখে গোপনে প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার করার অভিযোগ বিজেপি পরিচালিত মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি রজকের বিরুদ্ধে। আর এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে মানিকচক পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্যের মধ্যে আটজন সদস্য মানিকচক বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও প্রধান বিউটি রজকের দাবী, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূল নেতা সানোয়ার আলী পারভেজের দাবী, মোটা অংকের টাকার কমিশনের বিনিময়ে নিজেদের পেটুয়া ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকলকে অন্ধকারে রেখে গোপনে টেন্ডার করছেন প্রধান।
নির্ঘণ্ট অনুযায়ী টেন্ডার ড্রপিং ও টেন্ডারবিট ওপেনের দিন। আর এই নিয়ে মানিকচক পঞ্চায়েত চত্ত্বর ছিল সরগরম। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। মানিকচক পঞ্চায়েতে গিয়ে দেখা গেল পঞ্চায়েত দফতরের ভেতর দফায় দফায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে দুই পক্ষ। একপক্ষের দাবী, টেন্ডার ড্রপিং ও বিট ওপেনের দিন তা তারা জানতেন না। গত শনিবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে একজন পঞ্চায়েত সঞ্চালক টেন্ডারবিট ওপেনের নোটিশ পান। আর এতেই তারা প্রচন্ড ক্ষেপে যান।
পঞ্চায়েত সদস্যা ফুলোবতি চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, 'পঞ্চায়েতে যে এত টাকার টেন্ডার হচ্ছে সেই ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। সরাসরি টেন্ডারবিট ওপেন এর নোটিস পেয়েছি। আমাদের একেবারে অন্ধকারে রেখে মোটা টাকার বিনিময়ে নিজেদের পেটুয়া ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে এমনটা করছেন প্রধান। আমরা সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মানিকচকের বিডিওকে অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে এই টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।'
তবে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করেছেন মানিকচক পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি রজক। বিউটি রজকের দাবী, সমস্ত নিয়ম মেনেই টেন্ডার হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন ব্যাহত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল।
No comments:
Post a Comment