ত্রিম্বকেশ্বরে বিবাদে আগ্রাসী সাধু-সন্ত! মসজিদে হনুমান চালিসা পড়ার দাবী
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ মে : ত্রিম্বকেশ্বর মন্দিরে মুসলিম যুবকদের ধূপকাঠি দেখানো নিয়ে বিতর্ক শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। বুধবার, অ্যাডভোকেট অসিম সরোদে মুসলমানদের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন যে মন্দিরে কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা যাবে না। যে কোনও হিন্দু যেভাবে গীর্জা ও দরগায় যেতে পারে সেইভাবে মন্দিরটি সবার জন্য উন্মুক্ত। এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে বলেছিলেন যে আজমীর শরীফ এবং হাজি আলীতে যদি কোনও হিন্দু সত্যনারায়ণ কথা পাঠ করেন তবে মুসলিম সম্প্রদায় কি তা মেনে নেবে?
ঠাকরে গোষ্ঠীর সঞ্জয় রাউত বলেন যে স্থানীয় মুসলমানরা শতাব্দী ধরে ত্রিম্বকেশ্বর মন্দিরে ধূপ জ্বালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনও বিরোধ হয়নি। এই বিতর্কটি ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয়েছে পাকিস্তানি হানি ট্র্যাপের ইস্যু থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য যাতে ডিআরডিও পরিচালক প্রদীপ কুরুলকার জড়িত। বুধবার স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম জনগণের শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি কমিটি আরও বলছে, স্থানীয় যুবকরা ত্রিম্বকেশ্বর মন্দিরে ধূপকাঠি দেখাচ্ছে। কিন্তু মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত রাজেশ দীক্ষিত বলেন, "এমন কোনও প্রথা ছিল না।"
এই বিরোধ নিয়ে এখন আরও উত্তেজিত হয়ে উঠেছে সাধু-মহন্তরা। মহন্ত অনিকেত শাস্ত্রী মহারাজ বলেছেন, "মুসলিম যুবকরা যদি মন্দিরে এসে ধূপকাঠি দেখাতে পারেন, তাহলে আমরাও মসজিদে গিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করব। এই দাবী মেনে নেওয়া না হলে মন্দিরে ধূপ দেখানোর প্রথা বন্ধ করুন।" অনিকেত শাস্ত্রী বলেন, "আমরা যদি ভ্রাতৃত্বের কথা বলতে চাই, তাহলে কেন শুধু মন্দিরে মুসলমানদের তরফে ধূপ দেখানোর প্রথা, মসজিদেও হনুমান চালিসা পাঠের অনুমতি দেওয়া উচিৎ।"
মন্দিরে স্থানীয় মুসলমানদের হাতে ধূপ দেখানোর প্রথার সত্যতা
উরস মেলা ও শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা মতিন সৈয়দ বলেন, "তার বাপ-দাদার সময় থেকেই স্থানীয় মুসলিম যুবকরা মন্দিরের বাইরে থেকে ধূপ জ্বালিয়ে আসছেন। স্থানীয় মুসলমানদেরও ভগবান শঙ্করের প্রতি আস্থা রয়েছে।" কিন্তু মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একজন অধ্যয়নকারী রাজেশ দীক্ষিত এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেছেন যে, " মুসলিম যুবকরা মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে ধূপধূনো দেখিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মন্দিরের সিঁড়িতে আসা বা মন্দিরের ভিতরে যাওয়ার প্রথা কখনও ছিল না। মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত পদাধিকারীদের কৃতজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে দু-তিনজন যদি কখনও এই কাজ করে থাকেন, তাহলে এটাকে ঐতিহ্য বলে ভুল করা উচিৎ নয়।"
No comments:
Post a Comment