টিফিন বিরতিতেও মিটিং-মিছিল নয়, কড়া নির্দেশিকা নবান্নের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২১ মে, কলকাতা: বাংলায় ডিএ-র দাবীতে চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। সেই আবহেই এবার একটি নতুন ডিক্রি জারি করল রাজ্য সরকার। টিফিনের সময়ও সরকারি অফিসে কোনও মিটিং-মিছিল বের করা যাবে না। কর্মচারীরা সময়মতো অফিসে আসবেন এবং নির্ধারিত সময়ে চলে যাবেন। সরকারি অফিসে কাজ এবং টিফিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, টিফিনের সময় দুপুর ১.৩০ থেকে দুপুর ২.০০ টার মধ্যে হবে। এ সময় কোন সভা-সমাবেশ করা যাবে না। কেউ অর্ধেক অফিস ছেড়ে চলে গেলে তাকে অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে।
রাজ্য সরকারের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে যে, সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং কাজের সময় অতিরিক্ত ঝামেলা এড়াতে অফিসের প্রধানের অনুমতি ছাড়া কাউকে অফিসের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না, দুপুর ১.৩০ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র টিফিনের সময়। এই নিয়মগুলি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিধি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অফিসে অনুপস্থিত বলে বিবেচিত হবে।
২২ শে মে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের পেন ডাউন কর্মসূচি রয়েছে। সার্বজনীন পরিষেবা মেলাও মুশকিল হতে পারে। তাই যেসব কর্মচারী আইন অনুযায়ী কাজ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই দিন কোনও কর্মচারী সিএল নিতে পারবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে শুধুমাত্র সেই লোকেরাই ছুটি নিতে পারেন, যারা গুরুতর অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি।
এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটি, কেউ যদি ১৯ মে-এর আগে ছুটি নিয়ে থাকেন, তবে তিনি এই ছুটি পাবেন, তবে কর্মচারীরা টিফিন বিরতিতেও অফিসের বাইরে যেতে পারবেন না। কর্মচারীরা যাতে কোনো মিথ্যা ঝামেলায় না পড়েন, তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।
নবান্ন মূলত সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এমন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। সরকারের দাবী, এই নিয়মের ফলে সরকারি অফিসে কাজ করতে কোনও সমস্যা হবে না।
জানা যায়, বকেয়া ডিএ-র দাবীতে সরকারি কর্মচারী সংগঠন ও ফোরামের পক্ষ থেকে পেন ডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সোমবার সরকারি কর্মীদের অফিসে আসতে বাধ্য করার জন্য নবান্ন কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
No comments:
Post a Comment