পরকীয়ায় পথের কাঁটা মেয়ে! পুলিশ প্রেমিকের সঙ্গে মিলে খুনের চক্রান্ত মায়ের?
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০২ মে, কলকাতা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল মেয়ে। তাই পুলিশ প্রেমিকের সাথে ষড়যন্ত্র করার এবং তার ষোলো বছরের মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে মা, এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। অভিযুক্ত মা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হরিদেবপুরের মতিলাল গুপ্ত রোড এলাকায়।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সোনালী চন্দ এবং ধৃত পুলিশ কর্মীর নাম প্রসূন মান্না। তিনি একজন ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল। সোনালী চন্দের স্বামী কৌশিক চন্দ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাদের একটি মেয়ে আছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার বাসিন্দা রাজা টেনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সোনালীর, বিষয়টি জানতে পারেন সোনালীর মেয়ে। এ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে অনেক সময় ঝগড়া হয়।
এসময় সোনালী নাবালিকাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে নাবালিকা হরিদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সোনালীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি জানান, তার মা সোনালী চন্দের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমিকের পরামর্শে মেয়েটিকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন তিনি। নাবালিকা বাড়িতে থাকা অবস্থায় ওই মহিলা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভানোর পর তারা ফিরে আসেন। পরে মেয়েটি মায়ের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ নিয়ে থানায় হাজির হয়। মেয়ে তার প্রেমিকের তার মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার প্রমাণ পুলিশকে দেখায় নাবালিক মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সেখান থেকে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপর সোমবার বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। মহিলার প্রেমিক, ৪০ বছর বয়সী প্রসূন মান্না, হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক রাজ্য পুলিশের কর্মচারী। পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযোগকারীর বাবা ও মা আলাদা থাকেন। মেয়ে মায়ের সঙ্গে থাকে, কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন মা, এমনই অভিযোগ।
সোনালী চন্দ ও তার প্রেমিকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মেয়েটিকে খুনের পরিকল্পনার প্রমাণও পাওয়া গেছে এবং এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
No comments:
Post a Comment