বিপজ্জনক মানসিক এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এই রোগ সম্পর্কে অজ্ঞাত
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৪ জুন : দৌড়ঝাঁপ ভরা এই জীবনে কাজের চাপ, খারাপ জীবনযাপন, খারাপ খাবার আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কাজের চাপের কারণে বেশিরভাগ মানুষ হতাশা, দুশ্চিন্তার শিকার হচ্ছে । এর ফলে অনেক ধরনের মানসিক রোগ হতে পারে । এর মধ্যে একটি হল ওসিডি, যাকে আমরা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার বলে জানি। এই সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা দেখতে খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু তারা যে কাজ করেন তা স্বাভাবিক নয়। চলুন জেনে নেই ওসিডি সম্পর্কে-
ওসিডি :
আমরা যখন ওসিডিকে মানসিক রোগ হিসেবে জানি, তখন আমাদের মনে নানা ধরনের চিন্তা আসতে শুরু করে যেন এটা একটা পাগলামি বা মারাত্মক রোগ। কিন্তু আমরা যদি এটি মনোযোগ সহকারে দেখি , তাহলে এটা স্পষ্ট যে অবসেসিভ মানেই যে কোনো আচরণকে বারবার পুনরাবৃত্তি করা। অর্থাৎ আমাদের মনে যে চিন্তাগুলো বারবার আসে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করা এবং সেগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাজ করা। এগুলি নেতিবাচক এবং ইতিবাচক দুপ্রকারের হতে পারে।
আমরা যদি মনে করি যে আমাদের হাত নোংরা, তাহলে আমরা ইচ্ছা না করেও বারবার ধুতে থাকি এবং যখন এই প্রক্রিয়াটি বারবার চলতে থাকে, তখন তা এক ধরনের হয়ে যায় বাধ্যতামূলক। আবেশ থেকে মুক্তি পেতে সাধারণত বাধ্যতামূলক কাজ করা হয়।
ওসিডি রোগীরা ময়লাকে ভয় পান। তাদের সাধারণত ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করা এবং ধোয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। কিছু লোক বারবার জিনিসগুলি পরীক্ষা করে দেখেন যে দরজাটি লক করা আছে কি না। গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ আছে কি নেই? অনেকে ভয় পান মারাত্মক রোগের কবলে পড়ার।
উপসর্গ :
নোংরা হওয়ার ভয়
সিকোয়েন্সিং আবেশ
জিনিস গণনা সচেতন হন
কাউকে আঘাত করার ভয়
বাধ্যতা:
ঘন ঘন হাত ধোয়া
ঘন ঘন দরজা চেক করা
একই জিনিস বারবার পুনরাবৃত্তি করা
যেকোনও মানসিক অসুস্থতা এড়াতে জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, ঘুম এবং স্ক্রিন টাইমের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment