ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার পর পলাতক সিগন্যাল জেই, বাড়ি সিল সিবিআই-এর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ জুন : ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনার CBI তদন্তে নতুন মোড় এসেছে। বালাসোর সিগন্যাল জেই (আমির খান)-এর বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই। দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত দল কয়েকদিন আগে সিগন্যাল জেইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর থেকে সিগন্যাল জেই পরিবারসহ নিখোঁজ রয়েছে। ২ জুন এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে, শতাধিক মানুষ এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সিবিআইয়ের তরফে ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয় ৬ জুন। এর আগে এই ঘটনায় সিবিআই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে কারচুপির সম্ভাবনা প্রকাশ করা হলে সরকার এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। দুর্ঘটনার পর রেলের আধিকারিকরা বলেছিলেন যে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে কোনও ধরণের কারচুপি হতে পারে।
বালাসোরে দ্রুতগতির করমন্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হলে এবং লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির সাথে সংঘর্ষ হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। একই সময়ে এর কয়েকটি বগি পার্শ্ববর্তী ট্র্যাকের উপর দিয়ে যাওয়া আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সাথে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে কোচের টুকরোগুলো উড়ে গেছে। করমন্ডল ট্রেনের ইঞ্জিনটি পণ্যবাহী ট্রেনের ওয়াগনের ওপর উঠে যাওয়া থেকে দুর্ঘটনাটি অনুমান করা যায়।
দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৯০ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রায় ১২০০ জন আহত হয়। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন শতাধিক। ঘটনার পর রেলমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেও বালাসোরে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থলে তিন দিন উপস্থিত ছিলেন এবং ৫১ ঘণ্টার মধ্যে রেললাইন আবার চালু করা হয়।
সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা
দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের থেকেও নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা বলছেন, ভারতে যখন 'সুরক্ষা কবচ' আছে, তখন ট্রেনে কেন বসানো হল না? তবে এর জবাবে রেলওয়ে বোর্ডের আধিকারিকরা বলেছেন যে দুর্ঘটনাটি নিরাপত্তা কভারের অভাবে ঘটেনি বরং অন্য কোনও কারণে ঘটেছে। এর বাইরে রেলওয়ের পক্ষ থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিকে টার্গেট করেছিল বিরোধীরা।
No comments:
Post a Comment