নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল-সিপিএমের সংঘর্ষ, আহত ৭ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 18 June 2023

নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল-সিপিএমের সংঘর্ষ, আহত ৭

 


নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল-সিপিএমের সংঘর্ষ, আহত ৭


নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৮ জুন, ধূপগুড়ি : বাংলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে পোস্টার লাগানো নিয়ে ধূপগুড়ি তৃণমূল ও সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ।  সংঘর্ষে তৃণমূল এবং সিপিআই(এম) এর সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জাকিকোনা এলাকায়।  রবিবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।  ওই সময় বারঘরিয়ার জকিকোনা এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অতর্কিত তাঁদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।  


 আসলে, কয়েকদিন আগে এলাকার কয়েকশো তৃণমূল নেতা পরিবারসহ সিপিএমে যোগ দিয়েছিলেন।  এরপর থেকেই সিপিএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা।


 এদিন নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীকে নিয়ে পোস্টার লাগাতে শুরু করে সিপিএম।  এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয় বলে অভিযোগ।  ধুপগুড়ি থানার সামনে সংঘর্ষ হয়।


 

 অন্যদিকে মালদায় কংগ্রেস প্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  তবে দুষ্কৃতীরা সে চেষ্টায় সফল হয়নি।  পরে ওই এলাকার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।


 রবিবার সকাল থেকেই ভয়ে ঘরের বাইরে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী তফাজ্জুল শেখ।  শুধু তিনিই নন, কংগ্রেসের আরও কুড়ি কর্মী এখন আত্মগোপনে রয়েছেন।  তফাজ্জুল বলেন, “পুলিশ আমাদের রক্ষা না করে আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে।  তারা আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। বললেন দশ কোটি নাও পাঁচ কোটি নাহলে মেরে ফেলব।"  আরেক কংগ্রেস কর্মী বলেন, "পুলিশ আমাদের খুঁজছে।  এখন পুলিশ ও তৃণমূল একসঙ্গে কাজ করছে।"



শনিবার রাত নয়টা নাগাদ কিছু লোক একটি বোলেরো গাড়িতে কংগ্রেস প্রার্থী তফাজ্জুল শেখের বাড়িতে পৌঁছেছিল।  কংগ্রেস নেতা দাবী করেছেন যে তিনি নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছেন।  কংগ্রেসের সন্দেহভাজন প্রার্থী তার পরিচয়পত্র দেখান।  তখনই পুরো বিষয়টি জানা যায়।


  পাঁচজন তফাজ্জুলকে জোর করে গাড়িতে বসানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।  তারপর বাকি কংগ্রেস কর্মীরা তফাজ্জুলকে রক্ষা করলেও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবী, রাতে এই কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।


 জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সী বলেন, “এটা ভিত্তিহীন খবর।  আসলে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস সন্ত্রাস ছড়ানোর দায় নিয়েছে।  রাজ্যের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে বিশ্বাস করছে।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad