ইউরিক অ্যাসিড? হতে পারে ভিটামিন সি-এর অভাব - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 25 June 2023

ইউরিক অ্যাসিড? হতে পারে ভিটামিন সি-এর অভাব


ইউরিক অ্যাসিড? হতে পারে ভিটামিন সি-এর অভাব

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ২৫ জুন: অসংযত জীবনযাপন এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষই আজকাল  বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছেন। ইউরিক অ্যাসিড এমনই একটি রোগ, যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। পিউরিন নামক উপাদানটি ভেঙে শরীরে জমা হলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধুমাত্র ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, শরীরে আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে।  বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন সি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা গাউটের আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

টমেটো স্যুপ -

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। টমেটো স্বাদে টক। আপনি এর স্যুপ বা জুস বানিয়ে পান করতে পারেন। এতে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

লেবুজল -

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে লেবুজলও কার্যকর। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং ইউরিক অ্যাসিড ফ্লাশ করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে গরম জল দিয়ে এটি পান করুন। স্বাদ অনুযায়ী কালো লবণও যোগ করতে পারেন।

কমলার রস -

কমলার রস ইউরিক অ্যাসিডের বর্ধিত মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। প্রতিদিন এটি পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং গাউট হয় না।

বেরি -

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরির মতো বেরিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে। এটি খেলে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা ও অন্যান্য সমস্যা হয় না। এছাড়া উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও এর ব্যবহারে কমে। সেজন্য অবশ্যই বেরি খাওয়া উচিৎ।

কিউই -

কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায় এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, আপনি যদি প্রতিদিন কিউই খান তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণগুলিও হ্রাস পেতে পারে।

আপেল সিডার ভিনিগার -

আপেল সিডার ভিনিগারে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস জলে ১ থেকে ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad