যুবদেরও হতে পারে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা, কীভাবে বাঁচবেন?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ জুন: জয়েন্টে ব্যথাকে সাধারণত বার্ধক্যজনিত রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও গত কয়েক বছরে যুবদের মধ্যেও এই সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে। ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মানুষও জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন। অনেক সময় শিশু-কিশোরদের মধ্যেও এসব সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত, আমাদের খারাপ জীবনধারা এর জন্য দায়ী। কারণ আমরা বেশিরভাগ সময় টিভি এবং ল্যাপটপের সামনে ব্যয় করি, অন্যদিকে শিশুরাও মাঠে না গিয়ে অনলাইন গেমগুলিতে বেশি সময় দিচ্ছে। আসুন জেনে নিই এর পেছনের কারণগুলো কী এবং কীভাবে এড়ানো যায়।
জয়েন্টে ব্যথার কারণ
- জেনেটিক কারণ।
- আঘাতের কারণে ব্যথা।
- পেশীর দুর্বলতা।
- অটোইমিউন ডিসঅর্ডার।
- শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি।
- অত্যধিক স্থূলতা।
জয়েন্টের ব্যথা চিনবেন কীভাবে?
এ রোগে শরীরের জয়েন্টগুলোতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
শীতের সময়ে এই ব্যথা বাড়ে।
কখনও কখনও এত ব্যথা হয় যে, হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়ে।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠা ও নামার সময় জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায়।
ক্লান্তি এবং শরীরে যন্ত্রণার অনুভূতি শুরু করে।
জয়েন্টের ব্যথা কীভাবে এড়ানো যায়?
বেশ কয়েক বছর ধরে জয়েন্টে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় খুঁজে বের করুন। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এই সমস্যা এড়ানো যায়। যেমন-
খুব ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ ঠাণ্ডা জল জয়েন্টের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
খুব ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে, ঘর থেকে বের হবেন না এবং দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন।
শীতকালে স্নানের জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করুন, কারণ এটি জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি কমায়।
নিজেকে সূর্যের আলোতে রাখুন এবং তেল দিয়ে আপনার শরীরে মালিশ করার চেষ্টা করুন।
আপনি চাইলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনের সাহায্য নিতে পারেন।
আপনার প্রতিদিনের খাবারে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২ ভিত্তিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
শরীর গরম রাখুন, ঠাণ্ডা হতে দেবেন না, না হলে ব্যথা বাড়তে পারে।
No comments:
Post a Comment