মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠক স্থগিত, জেলায় প্রচারে যাবেন মন্ত্রীরা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৮ জুন, কলকাতা : বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়নের কাজ শেষ করেছে। এখন সমস্ত দলগুলি যাচাই-বাছাই পর্বের পরে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও রাজ্য জুড়ে ভোটের প্রচার শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সোমবার বিকেল ৩টায় নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।
সময় ও সুযোগ বিবেচনা করে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। যদিও প্রশাসনিক মহলের একাংশ জানিয়েছেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তৃণমূল প্রশাসনের পাশাপাশি শাসক দল। এই ব্যস্ততার কারণে মন্ত্রিসভার বৈঠক আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট ৮ জুলাই। ১১ জুলাই ভোট গণনা হবে। আগামী ৬ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শেষ হচ্ছে, তাই রাজ্য সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রীই নিজ নিজ জেলায় প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন।
রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রায় ৩০ জন সদস্য গ্রামীণ এলাকা থেকে নির্বাচিত হন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজ নিজ এলাকায় প্রচারের দায়িত্ব তাদের কাঁধে নিতে হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভার বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন শাসক তৃণমূলের জন্য বড় পরীক্ষা। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করতে চায়।
সেই কারণেই শুধু দলের শীর্ষ নেতাদের নয়, রাজ্য মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সমস্ত প্রচার শেষ হয়ে গেলে আবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হতে পারে।
সূত্রের মতে, রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল, যার ঘোষণার ফলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে পারে। সেই কারণে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এমন কোনও বিতর্ক হোক তা চায়নি রাজ্য সরকার।
নির্বাচনের মডেল আচার-আচরণ চূড়ান্ত করার পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তগুলির অনুমোদনের কথা ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার। তবে শনিবার কালীঘাটে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তৃণমূলের ৫০ শীর্ষ নেতা আগামী ২০-২৫ দিন জেলায় প্রচার করবেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রত্যেককে অন্তত ৪০টি প্রচারণা করতে হবে। এর মধ্যে ৫০ নেতা একদল মন্ত্রী। তাই তিনি এই প্রচারণায় অংশ নিতে গেলে কোনওভাবেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন না।
No comments:
Post a Comment