মন্ত্রীর গোডাউনে আগুন! সহিংসতা অব্যাহত মণিপুরে, সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ জুন : ৩ মে মণিপুরে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, তার পরে রাজ্যে শান্তি পুনরুদ্ধারের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। রাজ্যে সহিংসতা থামার নামই নিচ্ছে না। অনেক এলাকা থেকে গুলি ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত গোডাউনে আগুন লেগেছে। তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পূর্ব ইম্ফল জেলার চিঙ্গারেলে মণিপুরের মন্ত্রী এল সুসিন্দ্রোর ব্যক্তিগত গুদামে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
দমকলের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়া পর্যন্ত গোডাউনটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ছাড়া শুক্রবার রাতেও একই জেলার খুরাইয়ে ভোক্তা ও খাদ্যমন্ত্রীর আরও একটি সম্পত্তি ও তার বাসভবনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মণিপুরের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। এতে তৃণমূল এবং এনসিপির প্রতিনিধিরাও থাকবেন।
যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ
মণিপুরে সহিংসতা শুরু হওয়ার ৫০ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও অনেক এলাকায় পরিস্থিতি গুরুতর। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লীর যন্তর মন্তরেও চলছে তুমুল বিক্ষোভ।
তিন দিন ধরে দুই জেলায় গুলি চলছে
এছাড়া গত তিন দিন ধরে মণিপুরের দুই জেলায় সহিংসতা চলছে। পূর্ব ইম্ফল এবং কাংপোকপিতে অবিরাম গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। গত তিন দিন ধরে এখানে নিরাপত্তা বাহিনী ও অজ্ঞাত হামলাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বলছে যে সেনাবাহিনী এবং বিএসএফের যৌথ টহল দল এবং হামলাকারীদের মধ্যে এই গুলিবর্ষণ হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর সামনে আসেনি। তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব ইম্ফলের উরংপাট ও গোয়ালতাবি এবং কাংপোকপির ইয়াংগাংপোকপি দুটি গ্রামে গুলি চলছে।
উরংপাট ও গোয়ালতাবি গ্রামকে টার্গেট করা হয়েছে
বলা হচ্ছে, সশস্ত্র হামলাকারীরা ইয়েগাংপোকসি থেকে উরাংপাট ও গোয়ালতাবি গ্রাম লক্ষ্য করে পাহাড়ী এলাকায় প্রবেশ করেছিল। এরপর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালাতে থাকে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেনা ও বিএসএফ জওয়ানরা ওই এলাকায় মোতায়েন করে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। উভয় গ্রামে লাগাতার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে লোকজন গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে।
পূর্ব ইম্ফলের এই দুটি গ্রামে এক ঘন্টা ধরে চলা গুলি বিনিময় ছাড়াও ইয়াংগাংপোকপিতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং হামলাকারীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছিল। এই সময় ভিড়ের সাথে জড়িত মহিলারাও আরও নিরাপত্তা বাহিনীকে ইগাংপোকপি এবং সিজাং এলাকায় আসতে বাধা দেয়।
No comments:
Post a Comment