মণিপুর সহিংসতা নিয়ে ক্ষোভ বিরোধীদের! প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপ দাবী

 

মণিপুর সহিংসতা নিয়ে ক্ষোভ বিরোধীদের! প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপ দাবী 

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুন : মণিপুরে সহিংসতার আগুন এখনও ঠাণ্ডা হয়নি।  গত দেড় মাস ধরে রাজ্যে সহিংসতা চলছে।  কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত চেষ্টার পরেও সহিংসতা থামার নাম নেই।  অনেক জেলায় এখনও কারফিউ জারি রয়েছে।  এখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মণিপুরের দশটি বিরোধী দল শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের দাবী জানিয়েছে, তার হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে।

 শনিবার দিল্লীতে সহিংসতার বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময়, মণিপুরের তিনবারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ইবোবি সিং বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক চেয়েছেন।  তিনি বলেন যে তিনি ২০ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে সহিংসতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।  ইববি সিং বলেন, "তার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া নয়।  আমরা শুধু শান্তি চাই।  আমাদের সাহায্য করুন।"

 কংগ্রেস নেতা বলেন যে, "৩ মে থেকে রাজ্যে সহিংসতা চলছে এবং এই পুরো বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।"  তিনি বলেন, "সহিংসতার কারণে সর্বত্র হাহাকার, নারী-শিশুসহ ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ক্যাম্পে।  তারপরও প্রধানমন্ত্রী রাজ্য নিয়ে কিছু বলছেন না।  মণিপুর কি ভারতের অংশ নাকি?  যদি তাই হয় কেন?"

 জয়রাম রমেশ বলেছেন- প্রধানমন্ত্রীকে ইমেল পাঠিয়েছিলেন

 একই সময়ে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ দাবী করেছেন যে ১০টি বিরোধী দলের নেতারা ১০ জুন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য একটি ইমেল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সংক্রান্ত চিঠি ১২ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, "২২ বছর আগে মণিপুরে যখন সহিংসতা শুরু হয়েছিল, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহার বাজপেয়ী দুবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন।  বাজপেয়ীও তখন শান্তির আবেদন করেছিলেন।"

জেডিইউ-এর পাঁচবারের বিধায়ক নিমাই চাঁদ লুওয়াং, যিনি সেই সময়ে বাজপেয়ীর সাথে দেখা করা প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন, বলেন যে, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের পরে রাজ্যে সহিংসতা অব্যাহত ছিল।  এর অর্থ বর্তমান সরকার সহিংসতা মোকাবেলায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।  আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী মোদী এতে হস্তক্ষেপ করুন এবং সহিংসতা বন্ধের একটি সমাধান বের করুন।"