বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে মারধর-গালিগালাজ! তরজা

বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে মারধর-গালিগালাজ! তরজা 

নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা: বিজেপি কর্মী ও তাঁর বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর আকাইপুর অঞ্চলের হুদা আইটপাড়া গ্রামে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। 

বিজেপি কর্মী পলাশ রায় জানান, রাতে বাড়িতে আসে স্থানীয় তৃণমূলের লোকেরা। তিনি বলেন, "এখানকার ৪৩ ও ৪৪ পার্টের তৃণমূলের প্রার্থীরা মিলে আচমকাই এসে আজেবাজে কথা বলে আমাকে ঘরের বাইরে বের করে। আমাকে মারধর করে, প্রাণে মারার হুমকি দেয়। মা বাঁধা দিতে গেলে মাকেও ধাক্কাধাক্কি করে।" তিনি বলেন, "তৃণমূলের হার্মাদবাহিনীরা এই আক্রমণ করেছে। তারা সমাজের মানুষের পাশে থাকার মানুষ না।‌"

পলাশের দাবী, আগে তৃণমূল করতেন। বর্তমানে বিজেপিতে এসেছেন, সেই আক্রোশেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। 

  

খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে ওই গ্রামে যান বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ৷গ্রামের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ অশোক কীর্তনীয়া বলেন, "তৃণমূলের থেকে অত্যাচারিত হয়ে পলাশ বিজেপিতে যোগ দেন। রাতের অন্ধকারে অরূপ বিশ্বাস, অসীম বিশ্বাস ও দিলীপ রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের হার্মাদবাহিনী ওনাকে ও ওনার স্ত্রীকে মারধর করেছে, ওনার বৃদ্ধা মাকে গালিগালাজ করেছে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।" তিনি বলেন, 'তৃণমূলকে এখান থেকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য আমাদের লড়াই চলবে।'

অপরদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "তৃণমূলের এত দুরবস্থা হয়নি যে, তৃণমূল থেকে লোক যাবে। ওরা বিজেপির লোক, বিজেপিতেই ছিল। কিছু সুযোগ-সুবিধার জন্য আমাদের সঙ্গে ঘুরতো আমরা তাদের সেইভাবে প্রশ্রয় দিইনি। ওদের শুদ্ধিকরণ করানোর জন্য মিথ্যা ভাওতা কেস করানোর চেষ্টা হচ্ছে।"

তৃণমূল সভাপতির প্রশ্ন, কোনও হাসপাতালে কেউ ভর্তি হয়েছে? কোনও প্রমাণ আছে? তিনি বলেন, "শুধুমাত্র ভোটের প্রচার পাওয়ার জন্য, প্রশাসনের ওপর চাপ রাখতে এসব কৌশল, আমরা জানি। আমি পুলিশকে তদন্ত করতে বলেছি। সঠিক তদন্ত করলে সত্য উদঘাটন হবে। 'ওরা নিজেরাই ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়', সংযোজন বিশ্বজিতের।