মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২১ জুন: দলের প্রতি আনুগত্য রেখে অবশেষে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৪১ নম্বর আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন মোঃ ইছা হক সরদার। একই কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। প্রথম থেকেই রবিউলের দিকে পাল্লা ভারী ছিল বুঝে ইছা হক সর্দারের সমর্থকরা বারাসত ব্লক ওয়ানের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় গিয়ে টিকিট না পেয়ে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় যশোর রোড অবরোধ করেছিলেন ইছা হক সরদারের সমর্থকরা। তাদের দাবী ছিল, রবিউলকে সরিয়ে ইছা হককেই দলীয় প্রার্থী করতে হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তারা।
নিয়োগ দুর্নীতি চাকরি বাতিলে ইশা হোক সরদারের ছেলের চাকরি গিয়েছিল সেই কারণেই কি তাকে প্রাথী পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? এর উত্তরে ইছা হক সরদারের মন্তব্য, তিনি মনে করেন এমন নয়। এবার দল তাকে যোগ্য মনে করেনি তাই তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে তিনি রাজনীতির ময়দানে থাকবেন। দলের আনুগত্য মেনেই থাকবেন। যদিও তাঁর ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সৎদের টিকিট দেওয়ার কথা বলছিলেন, সেখানে তাঁর মতন সৎ ব্যক্তিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। দলের কথায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর আবার দলের কথায় তা প্রত্যাহার করতে গিয়ে তাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে একে এম ফরহাদের সাথে আব্দুল রৌউবও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কিন্তু দলীয় টিকিট না পাওয়ায় আব্দুল রৌউব মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র জানিয়েছেন, 'যারা বেশি করে কাটমানি দিতে পারে তারাই তৃণমূলের টিকিট পেয়েছে। দলীয় আনুগত্য মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও নির্বাচনের দিন তাদের বিরোধী তৃণমূলের প্রার্থীদের পাশে থাকেন কিনা সেটাই এখন দেখার।'
No comments:
Post a Comment