'অমিত শাহরা দেশের সর্বনাশ করে দিচ্ছে': সুজন চক্রবর্তী
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৩ জুন: "বিজেপি এবং আরএসএস দেশের সর্বনাশ করছে", এমনই মন্তব্য করলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার বারাসতে সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্বাচন কমিশনকেও এক হাত নিয়েছেন তিনি।
পাটনায় বিরোধীদলের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিরোধী দলগুলো পাটনায় নিজেদের মধ্যে মিটিং ডেকেছে বিজেপি বিরোধী। বিজেপি এবং আরএসএস যেভাবে আমাদের দেশের সর্বনাশ করছে, তার বিরুদ্ধে দেশকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। জাতীয় দলগুলো তাদের মত করে উদ্যোগ নিয়েছে এবং তাদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলি। এটাই উচিৎ এবং স্বাভাবিক।"
বাম-নেতা বলেন, "যারা বিজেপির অংশীদার থেকেছে তারাও পর্যন্ত এখন এই মিটিং থেকে সরে আসতে পারছেন না। সবাই জানে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, যেমন তৃণমূল। তারা বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়েছে, বিজেপির সুবিধার্থে গোয়ায়, মেঘালয়ে ভোটে অংশ নিয়েছে। বিজেপির পরামর্শ নিয়েই রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করেছে।"
তিনি বলেন, "জাতীয় দলগুলো উদ্যোগ নিয়েছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলও সেখানে গিয়েছে, অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির মত। আর অমিত শাহ বলছেন ওটা ফটোসেশন। উনি ফটোসেশনই মনে করুন, কিন্তু বুঝে রাখবেন, গোটা ভারতবর্ষে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ারই চেষ্টা করবে, সেটাই তাদের লড়াই। দেশটাকে তারা বাঁচাতে চায়। অমিত শাহরা দেশের সর্বনাশ করে দিচ্ছে।"
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুজন। তিনি বলেন, দিতেই পারে, কিন্তু হঠাৎ দিল কেন? কারণ এর আগে বিজেপি পার্লামেন্ট ইলেকশন, উত্তরপ্রদেশ ইলেকশনে এবং পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেয়নি।' তাঁর কথায়, "আরএসএস বা বিজেপি কেন্দ্র দ্বারা পরিচালিত হয় এবং তারা কোন নীতি নিয়ে চলছে তা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী দেখে বোঝা যাবে না। সেটা বুঝতে হবে সারা ভারতবর্ষে বিজেপির মনোভাব দেখে। সংখ্যালঘু বিরোধী মনোভাব, মানুষের মধ্যে বিভাজনের মনোভাব, সাম্প্রদায়িকতার মনোভাব এটা যে বিজেপির কাছে অত্যন্ত বেশি, ভয়াবহ, তা স্পষ্ট।"
এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় মোতায়েন নিয়েও কমিশনকে এক হাত নিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "পশ্চিমবাংলায় নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়ন করা হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। কমিশন অনেকবার চড়-থাপ্পড় খেয়েছে, কমিশন চাইছিল না এই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, বাস্তবে তা সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু মানুষের মনে প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকমতো ব্যবহার করা হবে কিনা? তাকে আবার হাজারদুয়ারির মত ঘুরতে পাঠানো, এরকম অসভ্যতা যেন নির্বাচন কমিশন না করে।"
No comments:
Post a Comment