তৃণমূলের ভোট প্রচারে জনজোয়ার, নির্দলদের কটাক্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৬ জুন: হাতে গোনা কয়েকটি দিন বাকি, এরপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে প্রচার। পিছিয়ে নেই শাসক-বিরোধী কোনও দলই। রবিবার দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে প্রচারে নামতে দেখা গেল বিধায়ক ও তৃণমূল নেতৃত্বদের। এদিন বারাসত ১ নং ব্লকের কাশিমপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের প্রচারে জনজোয়ার নেমে এল রাস্তায়। কাশিমপুর পঞ্চায়েতের ২০২ নং পার্টের তৃণমূল প্রার্থী দেবেশ কুমার অধিকারীর হয়ে প্রচারে নামেন বিধায়ক ও তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী। নতুন বাজার এলাকায় পথসভা এবং এরপর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়।
এরপর কাশিমপুর পঞ্চায়েতের ২০০/২০১ নং পার্টের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সওকাত আলীর সমর্থনে কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে থেকে দিঘারমোড় পর্যন্ত মিছিল হয়। সেখানেও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে, একই পঞ্চায়েতের ১৯৯ নম্বর পার্টের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সামিনা আলমের সমর্থনে দত্তপুকুর তিয়ার মোড় থেকে মৌলোনা আবুল কালাম আজাদ হাই মাদ্রাসা পর্যন্ত মিছিল করা হয়।
তৃণমূল প্রার্থী দেবেশ কুমার অধিকারী বলেন, "আমার পার্টে বিজেপি ও সিপিএম দুই প্রার্থীই আছেন। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই। ২০২ নম্বর পার্টের সকল মানুষই আমার সঙ্গে আছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেকটা মানুষ আমার সাথে আছে।" তিনি জানান, প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছেন, অন্তত ৪০০ মানুষ তাঁর মিছিলে যোগদান করেছেন।
কাশিমপুর পঞ্চায়েতের ২০০/২০১ নম্বর পার্টের তৃণমূল প্রার্থী সওকাত আলী বলেন, "প্রচারে দারুন সারা পেয়েছি। মানুষ দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছে আমাদের।" প্রার্থী জানান, তিনি পাঁচ বারের নির্বাচিত সদস্য। এবারেও নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন।
সাবিনা আলম, ১৯৯ পার্টের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, "এই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছি। প্রচারও চলছে। জনসাধারণের যা সাড়া পেয়েছি তাতেই যথেষ্ট।" তিনি বলেন, 'লোকে বলছেন দিদির উন্নয়ন দেখে এমনি আমরা ভোট দেব।' এর পাশাপাশি নির্দলদের দলের গদ্দার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
অপরদিকে কাশিমপুর অঞ্চলের প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতা অমল কুমার বিষ্ণু নির্দলদের নিশানা করে বলেন, "আমাদের দলের কিছু গদ্দার, যারা তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূলের খেয়ে পড়ে, তৃণমূল থেকে সমস্ত সুবিধা নিয়ে এখন আম চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। তাদের বহিষ্কার করার জন্য আমরা বলেছি এবং ইতিমধ্যেই দল তাদের বহিষ্কার করেছে।"
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "আম বাগানে পড়ে পচছে, কেউ খাচ্ছে না। এলাকাবাসীর কাছে আবেদন, পচা আমকে ফেলে দিন এবং উন্নয়নের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রার্থী সামিনা আলম, সওকাত আলী ও দেবেশ অধিকারীকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন।"
No comments:
Post a Comment