টাকার বিনিময়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক ! তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 19 June 2023

টাকার বিনিময়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক ! তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

 


টাকার বিনিময়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক ! তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ 



নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৯ জুন: প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও প্রতীক পেলেন না প্রার্থীরা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের, ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টায়ার চালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর গ্রামে। যদিও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর। ঘটনাকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা।


ভোটপর্ব যতই এগিয়ে আসছে ততই অভ্যন্তরীণ সংঘাত প্রকাশ্যে আসছে শাসকদলের। টিকিট বিতরণ নিয়ে ক্রমে বাড়ছে অসন্তোষ। যে ক্ষোভ প্রশমনে ব্যর্থ তৃণমূল নেতৃত্ব। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগে পথ অবরোধ করে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। অভিযোগের তীর ব্লক সভাপতির দিকে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের কুশিদা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির ১ নং বুথের প্রার্থী মেহেতাজ বানু ও ২ নং বুথের প্রার্থী রেজা আলীর নাম প্রার্থী তালিকায় আসে, প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরই মনোনয়ন পেশ করেন দুই প্রার্থী। কিন্তু স্কুটনির পর তারা জানতে পারেন দল থেকে তাদের কোনও দলীয় প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না, সে কারণে তাদের নাম বাদ যায়। মেহেতাজ বানু ও রেজার আলীর পরিবর্তে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে নিখাদ বানু ও প্রকাশ দাসকে। এই খবর শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রার্থীরা। 


প্রার্থীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদে কারচুপি করেছেন। মোটা অংকের টাকা নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দিলে, তবেই মিলবে দলীয় প্রতীক। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব প্রার্থী সহ তৃণমূল কর্মীরা।


যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর সভাপতি মানিক দাসকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করে না। যারা অভিযোগ করছে তারা পদলোভী।


টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে দলীয় প্রতীক, অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন দাস বলেন, 'টাকা ছাড়া তৃণমূলে পদ, প্রার্থী কিছুই হয় না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিদের দূরে ঠেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের ঠাঁই দিচ্ছে তৃণমূল।'


অন্যদিকে মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্র নারায়ণ মজুমদার বলেন, 'টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রি এটা পুরোপুরি ভাবে বাস্তব। টাকা ছাড়া তৃণমূল চলে না।'


একদিকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এমনকি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও যারা মনোনয়ন দিয়েছে তারা যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী সাংবাদিক সম্মেলন করে সেকথা বলেছেন। প্রশ্ন উঠছে তবে ব্লক সভাপতি মানিক দাস কি দলের নির্দেশ মানছেন না? প্রার্থী তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা পেলেন না দলীয় প্রতীক। আর নাম না থাকা সত্ত্বেও যারা দলীয় প্রতীক পেলেন তারা কিসের বিনিময়ে পেলেন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে সমগ্র ঘটনা নিয়ে শোরগোল জেলা রাজনৈতিক মহলে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad