আতঙ্কের নাম তৃণমূল! জেলা কার্যালয়ে শরণ নিলেন ৪ বিজেপি প্রার্থী
নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর, ১৯ জুন: অতীতের নির্বাচনে রক্তপাত, গুলি চালানো থেকে বোমাবাজি, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর পঞ্চায়েতের নাম শুনলেই সাধারণ মানুষের মনে ভেসে ওঠে এমন সব আতঙ্কের কথা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসকদলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘর ছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা, এমনই অভিযোগ। অপহরণের আতঙ্কে সোমবার গঙ্গারামপুর ছেড়ে বালুরঘাটে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিলেন চার প্রার্থী। নমিনেশন প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পরেই এলাকায় ফিরবেন তারা। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরলেন আতঙ্কের কথাও। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বিজেপি প্রার্থী বাসন্তী কিস্কু জানান, '২০১২ সাল থেকে এলাকায় ভোট দিতে পারেননি। এবারে ভোটে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। অপহরণের আতঙ্কে তারা চারজন প্রার্থী বিজেপি কার্যালয় আশ্রয় নিয়েছেন।
অপর এক প্রার্থী সুবোধ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, "আমার পাশের বুথ তৃণমূল জেলা সভাপতির বুথ। সেই বুথে আমাদের যিনি প্রার্থী ছিলেন, তাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমরাও আতঙ্কে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছি।" তাঁর আশঙ্কা, তাঁদেরও হয়তো প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, "আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। আমাদের বিধায়ক ও অন্য নেতৃত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তায় আমরা ৪ জন এখানে আসি।"
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর পঞ্চায়েতের ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যাদের মধ্যে একজনের প্রার্থীপদ জোর করে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন সেই আতঙ্কেই নন্দনপুর ৫ সংসদের সুবল চন্দ্র মণ্ডল, ২ নম্বর করিয়াল সংসদের রামপ্রসাদ সরকার, ৪ নম্বর নন্দনপুর সংসদের বাসন্তী কিস্কু এবং করিয়াল ১ নম্বর সংসদের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তী সরকাররা বালুরঘাটে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment