'পলাতক উপ-পুরপ্রধানের সন্ধান চাই', শহর জুড়ে পোস্টার
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৮ জুন: নিখোঁজ’ উপ-পুরপ্রধান, তাকে খুঁজে পেতেই পোস্টার পড়ল জলপাইগুড়ির পান্ডা পাড়ায়। পোস্টারে লেখা, জলপাইগুড়ি পৌরসভার পলাতক উপ-পৌরপতির সন্ধান চাই।' পোস্টার সৌজন্যে লেখা যুব কংগ্রেস। গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডা পাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী দম্পতির রহস্যমৃত্যু হয়। ওই দম্পতি বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই ও ভাইয়ের বৌ ছিলেন। ঘটনার দিন সেই বাড়ি থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন সৈকত। শুক্রবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের চূড়ান্ত রায়দান ছিল। আদালত সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। জামিন নাকচো হতেই তৎপর পুলিশ। যদিও তাঁকে পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। এরইমধ্যে এই পোস্টার।
উপ-পুরপ্রধানকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী তুলে শনিবার বিকালে জলপাইগুড়ি থানা মোড়-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটায় যুব কংগ্রেস কর্মীরা। যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি নব্যেন্দু মৌলিক বলেন, “আজকে জলপাইগুড়ি জেলার ইতিহাসে একটি কালো দিন। কারণ, জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান যিনি আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত, তাঁর জামিন নাকচ হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ। আমরা জানি, ভাইস চেয়ারম্যান বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার দফতরের সঙ্গে যুক্ত। উনি না থাকায় নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশ রাতে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন হোটেল অভিযান চালিয়ে লোক দেখানো নাটক করছে। আমরা চাই তাঁকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”
তবে জলপাইগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক প্রেসিডেন্ট তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানান, “সৈকত চট্টোপাধ্যায় এখনও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে তাঁর। এই মুহূর্তে তিনি না থাকায় জলপাইগুড়ি পুরসভার নাগরিক পরিষেবা চেয়ারম্যান-সহ আমরা সকলে মিলে চালাব। দেশের শীর্ষ আদালতের রায় আসার পর দেখা যাবে কী করা যায়।”
No comments:
Post a Comment