কংগ্রেস প্রার্থীদের প্রতীক জমা দিতে বাধা তৃণমূলের, ধর্ণায় অধীর
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২১ জুন, মুর্শিদাবাদ : মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রথম দিন থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলায় অশান্তির পরিবেশ। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিডিও অফিসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস প্রার্থীদের কাছ থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় যখন তারা তাদের মনোনয়নের শেষ পর্যায় শেষ করতে এসেছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সামনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে মনোনয়ন তুলতে বিরোধীদের চাপ দিচ্ছে পুলিশ। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে তিনি ধর্নায় বসেন।
রাজ্যের শাসক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার বিডিও অফিসে বি ফর্ম জমা দিয়ে নির্বাচনী প্রতীক সংগ্রহ করতে আসেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেই সময় দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস প্রার্থীদের হাত থেকে ফাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পুলিশের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের।
কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীদের মারা হয়েছে? এর প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের সাংসদ তথা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, প্রশাসনিক আধিকারিকদের খবর দিয়ে তাঁরা এখানে এসেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও কেন নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন? তালিকাভুক্তি অনুমোদিত নয়। নির্বাচন করতে না দেওয়ার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।
তিনি আরও বলেন, "বিডিও অফিস সর্বজনীন। প্রার্থীরা মনোনয়নের পর দলীয় প্রতীক সংগ্রহের জন্য বি-ফর্ম সংগ্রহ করতে আসেন। পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করেছে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। প্রতীক পাওয়ার শেষ দিন জেনে প্রথমে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কংগ্রেস কর্মীদের। এরপর গাড়িতে হামলা করে কাচ ভেঙে দেয়। এত বাধা পেরিয়ে বিডিও অফিসে পৌঁছানোর পরও হার্মাদ বাহিনী প্রার্থীদের ফাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিরোধিতা না থাকে এমন পরিকল্পনা তাদের বলে অভিযোগ অধীরের। যদিও তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment