.jpg)
টাইটানিক দেখতে গিয়ে সমুদ্রে গায়েব সাবমেরিন! বাকি মাত্র ১০ ঘন্টার অক্সিজেন
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২২ জুন : আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া একটি সাবমেরিনের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজ সাবমেরিন সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও ডুবোজাহাজের খোঁজ এখনও চলছে। মুশকিল হল সাবমেরিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট আছে, সেক্ষেত্রে পাঁচজনের জীবনই বিপন্ন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজে থাকা পাঁচ জনের অক্সিজেন শেষ হতে আর মাত্র ১০ ঘন্টা বাকি। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নৌবাহিনীর CURV21 রোবটও এটিকে খুঁজে বের করার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছে। রবিবার নিখোঁজ সাবমেরিন সম্পর্কে খবর আসে যে গভীর জলের ভিতর থেকে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তবে এসব আওয়াজের মাধ্যমে নিখোঁজ সাবমেরিনের কাছে পৌঁছানো সহজ নয়।
পাঁচটি জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচটি বিশেষজ্ঞ জাহাজ ইতিমধ্যেই রোবটটি নিয়ে ৪ কিলোমিটার গভীরে ২৪,০০০ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল এলাকা অনুসন্ধান করছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিখোঁজ সাবমেরিনটিতে পাঁচজন রয়েছেন যারা রবিবার টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন। জাহাজে থাকা পাঁচজনের মধ্যে ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে রয়েছেন। রবিবার জলের নিচে যাওয়ার পর এক ঘন্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে সাবমেরিনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
রোবট দ্বারা অনুসন্ধান
ইউএস কোস্ট গার্ড ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক বুধবার নিশ্চিত করেছেন যে সমুদ্রের গভীর থেকে শব্দ শোনা গেছে, যদিও তিনি বলেন আমরা স্পষ্টতই নিখোঁজ বিমানের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। এই গবেষণায় জড়িত আরেক বিশেষজ্ঞ কার্ল হার্টসফিল্ড বলেন, "বিশ্বের সেরা মানুষকে এই বিশ্লেষণে রাখা হয়েছে। বিশ্বের আরও অনেক সংস্থাও এতে যুক্ত হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "রোবট প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান করছে। তার জাহাজে একটি ভিক্টর ৬০০০ রোবট রয়েছে যা ২০০০০ ফুট গভীরতায় ডুব দিতে সক্ষম।
জাহাজে মাত্র কয়েক ঘন্টার অক্সিজেন বাকি
ইউএস কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, সাবমেরিনে থাকা লোকজনের কাছে মাত্র কয়েক ঘন্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে, যার কারণে উদ্ধারকারীরা সার্বক্ষণিক কাজ করছে। সাবমার্সিবল টাইটানকে জরুরী অবস্থায় ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। যেখানে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি।
No comments:
Post a Comment