লকডাউনে স্ত্রীকে খুন! দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে, সিআইডি তদন্তে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৪ জুন, দক্ষিণ ২৪ পরগণা : স্ত্রীকে খুন করে তিন বছর ধরে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। তিন বছর পর সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের কথা স্বীকার করে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের। এর আগেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল, কিন্তু খুনের প্রমাণ না পাওয়ায় জামিন পান ওই যুবক। এখন আবার সিআইডি তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোনারপুরের বাসিন্দা ভোম্বল মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী টুম্পা মণ্ডল। ২০২০ সালের মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন টুম্পা। মেয়ের সন্ধান না পাওয়ায় তার বাবা লক্ষ্মণ হালদার সোনারপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
নিখোঁজ মহিলার স্বামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু টুম্পাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি বিষয়টি হাইকোর্টে এসেছে। গত ১৩ জুন আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিআইডি।
ভোম্বলকে জেরা শুরু করে সিআইডি। শুক্রবার সিআইডির জেরার সামনে অবশেষে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেন ভোম্বল। তিনি জানান, তিন বছর আগে ২০২০ সালে স্ত্রী টুম্পাকে খুন করেন তিনি। তারপর সোনারপুরের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ লুকিয়ে রাখেন।
প্রমাণের অভাবে ভোম্বল জামিনে মুক্তি পান। সিআইডির কাছে খুনের কথা স্বীকার করার পর তার জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়েছে। এর সাথে, গোয়েন্দারা এই মামলায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা যুক্ত করারও অনুরোধ করেছেন।
ওই যুবকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সিআইডির গোয়েন্দারা তার বাড়িতে গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ লুকানোর অভিযোগ উঠেছে। খুনের তিন বছর পর সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী খুনের কথা স্বীকার করেন।
সিআইডির তদন্তে খুনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডিকে মামলার তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সোনারপুরের মিলানপল্লীতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকার সময় তার স্ত্রীকে খুন এবং ২০২০ সালে একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে তার দেহ ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে।
বাড়িওয়ালা তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালীন ভোম্বল মণ্ডল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। কিছুদিন পর তারা চলে গেল। কিছুদিন পর ভোম্বলের এক আত্মীয় এসে বাড়ির বকেয়া ভাড়া মিটিয়ে সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।
No comments:
Post a Comment