পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতা! এখন শুরু দেওয়াল দখলের লড়াই, বিরোধী নেতাদের হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৯ জুন, হুগলি : রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই শুরু হয়েছে দেওয়াল দখলের লড়াই। দেয়াল দখলের লড়াই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারের জন্য দেওয়াল দখলের জন্য তৃণমূলকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনেক জায়গায় লেখা স্লোগান ও প্রার্থীদের নাম লেখা সিমেন্ট দিয়ে লেপে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে যে হুগলি জেলার হরিপদ ঘোষ বিঘাটি পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর বুথ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। রবিবার রাতে হরিপদ ঘোষের সমর্থনে তৃণমূলের কর্মীরা অনেকগুলো দেয়াল লিখন করেন।
রাতের আঁধারে বিরোধী নেতাদের দেয়ালে লেখা নামের ওপর রাস্তার পাশে সিমেন্ট বসিয়ে প্রার্থীর নাম মুছে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার পিছনে CPI(M) বা বিজেপির হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
ইতিমধ্যেই ভদ্রেশ্বর থানায় এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী হরিপদ ঘোষ। এই বিষয়ে বিঘাটি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন বিরোধী নেতা এবং সিপিআই(এম) নেতা শ্যামল পাত্র বলেছেন যে এমন ঘটনা এখন পর্যন্ত কখনও ঘটেনি। এটা তার দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল।
বাংলায় এখন শুরু হয়েছে প্রাচীর দখলের লড়াই
তৃণমূল প্রার্থী জানালেন, "রাতে দেওয়ালে নিজের নাম লিখিয়েছি। সকালে কাজে গিয়ে দেখি, দেওয়ালে লেখা নাম মুছে গেছে।" তিনি আরও বলেন, "বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কারা এ কাজ করেছে তা তারা জানে না।"
অন্যদিকে প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীদের হুমকি-ধমকির অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামপন্থী নির্দল প্রার্থী রজনীগন্ধার মালা নিয়ে রজনীগন্ধার সাদা থানের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। এখন প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তা মানতে চায় না তৃণমূল।
প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পারমিতা। অন্যদিকে, এক ভোটারের বাড়িতে গিয়ে এমন কথা বলার অভিযোগ উঠেছে পারমিতার বিরুদ্ধে। সেই বক্তব্য নিয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধী দলগুলো।
২৪০ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী দেবশ্রী নস্কর বলেছেন, “এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। জনগণই ঠিক করবে কাকে ভোট দেবে। জনগণ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য প্রশাসনের সব ব্যবস্থা করা উচিৎ।” স্থানীয় সিপিএম নেতা রবিন হালদার বলেন, "এটাই শাসক দলের মানসিকতা।"
তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যে "ভোটের সময় কাকে ভোট দিচ্ছেন? বলতে হবে এবং কাকে ভোট দেওয়া হয়েছে। এটা দেখাতে হবে।"
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিজেপির পূর্ব জেলা কমিটির সহ-সভাপতি দিলীপ হালদারের কথায়, “তৃণমূলের এখন একটাই কর্মসূচি, কীভাবে ভোট লুট করা যায়।" অন্যদিকে, বারুইপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
No comments:
Post a Comment